নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ম্যাচটার আগেই যেন ম্যাচ জিতে গিয়েছিল ভারত! ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে স্বাগতিক দর্শকেরাও ধরে নিয়েছিলেন, ভারতের কাছে বড় হার দেখতে চলেছে বাংলাদেশ দল! সব অনুমান ভুল প্রমাণ করে দুই বছর আগে সল্টলেকে সুনীল ছেত্রীদের প্রায় হারিয়েই দিচ্ছিলেন জামাল ভূঁইয়ারা।
সল্টলেক ম্যাচের পর ভারতের সঙ্গে আরও একটি ম্যাচ খেলেছেন জামাল ভূঁইয়ারা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে গত জুনের সেই ম্যাচে ২-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। চার মাস পর সাফে সুনীল ছেত্রীদের সঙ্গে আবারও দেখা হচ্ছে বাংলাদেশের। সর্বশেষ ২০০৩ সালে সাফেই ভারতের বিপক্ষে শেষ জয়টা পেয়েছিল বাংলাদেশ। ১৮ বছর ধরে জয় না পাওয়ার আক্ষেপ মেটাতে সল্টলেকের স্মৃতিই অনুপ্রেরণা মানছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী। দলে বেশ ভালো মানের ফুটবলার আছে। নিজে বিশ্বাস করি যদি আমরা কোচের নির্দেশনা অনুযায়ী খেলতে পারি ও সেরাটা দিতে পারি, একটা ভালো ফল আসবেই।’
আলফাজ আহমেদ
২০০৩ সাফে সর্বশেষ ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই দলের তারকা ফুটবলার ছিলেন স্ট্রাইকার আলফাজ আহমেদ। সেবারই প্রথম বাংলাদেশের সাফ জয় এবং এখন পর্যন্ত সেটিই শেষ। ভারতের বিপক্ষে অনুজদের জয়ের টোটকা হিসেবে আলফাজ আহমেদ আজকের পত্রিকা বলেছেন, ‘কোচের অবশ্যই একটা পরিকল্পনা আছে। ভারত বেশি বেশি গোল করতে চাইবে। সুযোগটা কাজে লাগাতে হবে। যদি আমরা কাউন্টার অ্যাটাক কাজে লাগাতে পারি তাহলে ভারতের বিপক্ষে জয় পাওয়া সম্ভব।’
সল্টলেকের ম্যাচে ড্র করলেও আজ ভারতের বিপক্ষে জয়ের লক্ষ্যেই খেলতে চান বাংলাদেশ কোচ ব্রুজোন। কিন্তু জয় পেতে হলে দরকার গোল। আর গোলের জন্য প্রয়োজন ফিনিশিং। ফিনিশিং নিয়ে বাংলাদেশ কোচদের মাথাব্যথা নতুন নয়। অস্কারও এর ব্যতিক্রম নন। নিজেদের সমস্যাটা মাথায় রেখে ভারতের ভুলের অপেক্ষায় তাকিয়ে বাংলাদেশ কোচ, ‘আমরা কখনোই ড্রয়ের লক্ষ্যে খেলব না। ফুটবল খেলাটা আমার কাছে রক্ষণাত্মক নয়। যত উপায়ে সম্ভব, জেতার চেষ্টাই আসল। আর এতে সবচেয়ে সহজ উপায় হলো যত বেশি সম্ভব সুযোগ তৈরি করা। কালও (আজ) প্রথম মিনিট থেকেই আমরা তিন পয়েন্টে জন্য খেলব। ভারতও শুরু থেকে পূর্ণোদ্যম নিয়ে খেলবে, প্রেসিংয়ে যাবে। অন্তত প্রথম ১৫-২০ মিনিটে ওরা গোল আদায়ের সব চেষ্টা করে যাবে, আমরা সে অনুযায়ীই খেলব।’