ক্রীড়া ডেস্ক
কানাডার বিপক্ষে কোনোরকমে জয় পেলেও দর্শকদের বিরক্তির কারণ হয়ে উঠে ছিল বেলজিয়ামের ছন্দহীন ফুটবল। নড়বড়ে, একঘেয়ে আক্রমণভাগ নিয়ে বেলজিয়ামের বিশ্বকাপ জেতার সক্ষমতা আসলে কতটুকু আছে সেই প্রশ্ন যখন উঠি উঠি করছে তখনই আঘাত হানল মরক্কো। আগের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে রুখে দেওয়ার পর এবার বেলজিয়ামকে হারিয়ে দিয়েছে মরক্কো।
আল থুমামা স্টেডিয়ামে বেলজিয়ামকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলাই করেছে মরক্কো। তারকায় ঠাসা বেলজিয়ানদের নিয়ে এক প্রকার ছেলেখেলাই করেছে আফ্রিকান দেশটি। ২-০ গোলে জিতে তুলে নিয়েছে স্মরণীয় এক জয়। নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটি মরক্কোর তৃতীয় জয়। এর আগে ১৯৮৬ বিশ্বকাপে পর্তুগাল ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯৯৮ সালে জয় পেয়েছিল মরক্কো।
বেলজিয়ামকে হারিয়ে ‘এফ’ গ্রুপের শীর্ষে মরক্কো। দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট তাদের। বেলজিয়ামের পয়েন্ট ৩।
জয় পাওয়া ম্যাচে নিয়মিত গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনুকে ছাড়াই খেলেছে মরক্কো। বুনু মাঠে নেমে জাতীয় সংগীত গেলেও ম্যাচ শুরুর আগে অজানা কারণে তাঁকে উঠিয়ে দ্বিতীয় গোলরক্ষক মুনির মোহাম্মদিকে খেলান মরক্কো ওয়ালিদ রেগরাগি। অবশ্য এতটাই ঘুম পাড়ানি ফুটবল খেলেছে বেলজিয়াম যে বড় কোনো পরীক্ষাই দিতে হয়নি মুনির মোহাম্মদিকে।
গোলবিহীন প্রথমার্ধকে জমিয়ে তুলেছিল মরক্কো। অতিরিক্ত সময়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে হাকিম জিয়েশের ফ্রিকিকে হার মেনেছিলেন বেলজিয়াম গোলরক্ষক থিবো কোর্তয়া। গোল উদ্যাপনে যখন ব্যস্ত মরক্কোর ফুটবলাররা তখন বাঁধ সাধেন রেফারি। ভিএআর দেখে সিদ্ধান্ত নেন অফসাইডে ছিলেন রোমেইন সাইস। বাতিল হয়ে যায় মরক্কোর গোল।
দ্বিতীয়ার্ধেও সুযোগ এসেছিল মরক্কোর সামনে। ৫৭ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে সোফিয়ান বুফালের জোরালো শট অল্পের জন্য হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট।
বেলজিয়াম তাদের প্রথম সুযোগ পেয়েছিল ৬৫ মিনিটে। বক্সের বাইরে থেকে দ্রিস মের্তেন্সের বুলেট গতির শট ঠেকান মরক্কো গোলরক্ষক মুনির মোহাম্মদি।
বেলজিয়ামের ঘুম পাড়ানি ফুটবলে ক্রমেই তাদের রক্ষণে চাপ বাড়াচ্ছিল মরক্কো। তাই সাফল্যও এল ৭৩ মিনিটে। প্রথমার্ধে ফ্রিকিকে গোলবঞ্চিত হলেও এ দফায় আর হতাশ হতে হয়নি মরক্কোকে। বাঁ প্রান্ত থেকে দারুণ এক ফ্রিকিক নেন আবদেলহামিদ সাবিরি। আবারও হার মানেন থিবো কোর্তয়া।
এক গোলে পিছিয়ে থাকার পরও ম্যাচে ফেরার মতো কোনো সুযোগই বের করতে পারেনি বেলজিয়াম। উল্টো অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে গোলরক্ষক মুনিরের শট থেকে হাকিম জিয়েশের সঙ্গে বল আদান-প্রদান করে বক্সে ঢুকে পড়েন জাকারিয়া আবুখলাল। জিয়েশের কাটব্যাক থেকেই পরে দারুণ এক শটে বল জালে জড়ান আবুখলাল।