ক্রীড়া ডেস্ক
ঢাকা: ম্যাচজুড়ে লক্ষ্যে কোনো শট নেই। এমনকি প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের ডি–বক্সে বলের স্পর্শও পাননি। আক্রমণভাগের একজন ফুটবলারের ক্যারিয়ারে এমন দুর্ভাগা দিন আসতেই পারে। কিন্তু ফুটবলারের নাম যদি হয় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, যে কেউ ভ্রু কুঁচকে তাকাবেন!
এটি এক ম্যাচের পরিসংখ্যান হলেও, রোনালদোর সাম্প্রতিক সময়টা এমনই যাচ্ছে। একদিকে নিজের বাজে ফর্ম, অন্যদিকে দল জুভেন্টাসের দুর্বিষহ মৌসুম। শঙ্কায় আছে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলাও। সব মিলিয়ে ভুলে যাওয়ার মতো সময় কাটাচ্ছেন ‘সিআর সেভেন’।
এসি মিলানের বিপক্ষে ৩–০ গোলে হারের পর থেকেই সমালোচনার কেন্দ্রে রোনালদো। সে ম্যাচে রোনালদোর উপস্থিতিই যেন কারও চোখে পড়েনি। গিয়ানলুইগি ডোনারুমাকে পরীক্ষায় ফেলার মতো একটি শটও নিতে পারেননি পর্তুগিজ সুপারস্টার। পুরো ম্যাচে দুটি শট নিয়েছিলেন, যার একটিও লক্ষ্যে ছিল না। এমনকি মিলানের বক্সে প্রথমার্ধে একবারের জন্যও বল ছুঁতে পারেননি তিনি। তাঁর খেলার ধরন নিয়ে ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম লা গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্তস লিখেছে, সাহসী কোনো ভূমিকা নেই, খেলায় মন নেই এবং নিজের পরিচয়ের ছাপও নেই।
মাঠে যেন রোনালদো নয়, দেখা মিলছে রোনালদোর ভূতের। ‘অফ দ্য বল’ (পায়ে যখন বল থাকে না)–পজিশনিংয়ের জন্য বিখ্যাত রোনালদো মাঠে নিজের জন্য সুবিধাজনক জায়গাও বের করতে পারছেন না।
পরিসংখ্যান অবশ্য বলবে খুব একটা খারাপ মৌসুম কাটাননি রোনালদো। ২৭ গোল করে লিগে এখনো সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। কিন্তু মৌসুমজুড়ে রোনালদোর সহায়তা মাত্র ৩টি। সেটির চেয়েও বড় কথা, রোনালদোর এই গোলগুলো ঠেকাতে পারেনি জুভদের পতন। টানা নয় শিরোপা জেতা দলটি এখন চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে। অথচ এই রোনালদোকে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে আনাই হয়েছিল চ্যাম্পিয়নস লিগে চোখ রেখে। সে আশা যে পূরণ হয়নি, তা বলাই বাহুল্য। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই ইতালিতে রোনালদোর শেষ দেখে ফেলেছেন।