হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

বিএসএফকে সাইজ করার জন্য আমিই এনাফ, আপনাদের দরকার নেই: বিজিবি অধিনায়ক

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৫৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত প্রতিরক্ষার জন্য জন সাধারণকে শূন্যরেখায় যাওয়া নিরুৎসাহিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৫৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া। তিনি বলেছেন, ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফকে প্রতিরোধে বিজিবিই যথেষ্ট।

চৌকা সীমান্তে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ ও উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে আজ বৃহস্পতিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বাখের আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা জিরো লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, আপনাদের (সাধারণ মানুষ) এখানে আসার দরকার নেই। আমি এনাফ (যথেষ্ট) এই বিএসএফকে সাইজ করার জন্য।’

৫৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বলেন, ‘যখন আমার প্রয়োজন হবে, তখন আমি বলব আমার গ্রামবাসীকে নিয়ে আসো, আমরা সাইজ করি। আমি না ডাকলে আপনারা ওখানে এসে আমাদের কাজে ব্যাঘাত ঘটাবেন না।’

তিনি আরো বলেন, আমাদের হাতে অস্ত্র আছে, আমাদের ট্রেনিং আছে। সর্বশেষ আমাদের মনোবল আছে এবং আমাদের পেছনে ১৮ কোটি মানুষ আছে। ১৮ কোটি মানুষ থাকতে আমাদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ আছে? কোনো কারণ নেই।’

বিজিবি অধিনায়ক বলেন, ‘বিজিবি হবে সীমান্তের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক। বিজিবি যখন শূন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকবে, তখন আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন বর্ডার সিকিউরড। বর্ডারের নিরাপত্তা আছে। যেকোনো কাজে আপনারা আমাদের সাহায্য-সহযোগিতা পাবেন।’

সম্প্রতি ওই সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ উত্তেজনা দেখা দিলে গ্রামবাসী এগিয়ে আসায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান বিজিবি অধিনায়ক। বলেন, ‘আমি ধন্যবাদ দিতে চাই চৌকা এবং কিরনগঞ্জ গ্রামবাসীর প্রতি। আপনারা বিজিবির সঙ্গে ছিলেন, পাশে ছিলেন। এ জন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই। শুধু শিবগঞ্জবাসী নয়, পুরো ১৮ কোটি মানুষ বিজিবির সঙ্গে ছিল।’

মতবিনিময় সভায় শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজহার আলী, শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া, শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হকসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ৮ জানুয়ারি চৌকা সীমান্তে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের সীমান্তবর্তী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নো ম্যানস ল্যান্ড থেকে ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সীমান্ত সুরক্ষার নামে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু করেন। এতে বাধা দেন বিজিবি সদস্যরা।

এ সময় তাদের সঙ্গে জড়ো হন বাংলাদেশি গ্রামবাসীও। পরে বিজিবির বাধায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তারকাঁটার বেড়া নির্মাণ বন্ধ করলেও ১০ দিন পর ১৮ জানুয়ারি সীমান্তবর্তী জমির গম কাটাকে কেন্দ্র করে আবারও বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের সীমান্তবর্তী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করে আমবাগানের গাছ কাটেন।

এ সময় বাংলাদেশের ফসলি জমিও নষ্ট হয়। এতে আবারও দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় বাংলাদেশিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সীমান্ত পাহারা দিলেও বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশিদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেন। এতে আহত হন দুই বাংলাদেশি যুবক। এ সময়ও বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হলে বিএসএফ এই সংঘর্ষের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে। বর্তমানে অবশ্য সীমান্তে কোনো উত্তেজনা নেই।

আফতাবনগরে ধুলা আর শব্দদূষণ

স্বপ্ন অনিশ্চিত মাজেদুলের

৩ বছরেও পৌঁছায়নি ইতালি, খবর এল নির্যাতনে মৃত্যুর

দিনাজপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

৯ হাজার বিনা মূল্যে বই জব্দ: তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি

গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী ‘জুলাই-জাগরণ’ শুরু কাল

মেডিকেল ডিভাইস রেজিস্ট্রেশনে স্বতন্ত্র আইনের দাবি ব্যবসায়ীদের

চকচকে বাড়ি, বিলাসবহুল গাড়ি দিয়ে টিকে থাকা সম্ভব নয়: পরিবেশ উপদেষ্টা

কারাগারে ছাত্রলীগ নেতার হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ

প্রতিষ্ঠাতা নিয়ে বিরোধ, বিদ্যালয়ে তালা

সেকশন