হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

সেবক হিসেবে ৭০ লাখ মানুষের পাশে থাকতে চাই: মেয়র শাহাদাত

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য দেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘নগর পিতা হিসেবে নয়, সেবক হিসেবে ৭০ লাখ মানুষের পাশে থাকতে চাই। সকল বর্ণ, ধর্ম ও জাতির নাগরিক যারা এ শহরে বাস করছেন তাদের পাশে থেকে আমি কাজ করে যেতে চাই।’

শপথ গ্রহণ শেষে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ফিরে আজ মঙ্গলবার নগরীর পুরাতন রেলস্টেশন চত্বরে এক সংবর্ধনায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সকালে থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতা কর্মী ব্যানার–ফেস্টুন নিয়ে রেলস্টেশনে চত্বরে জড়ো হন। পরে নগর পিতা চট্টগ্রামে নামলে তাঁকে উষ্ণ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

চসিক মেয়র বলেন, ‘আমি আপনাদের সন্তান। এ শহর আমার একার নয়। এ শহর ৭০ লাখ মানুষের। চট্টগ্রামকে সুন্দর শহর হিসেবে গড়ে তুলতে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। ক্লিন, গ্রিন ও হেলদি সিটি গড়ে তুলব এ শহরকে। আমাকে একটু সময় দিন। আমার দেওয়া কথা আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করব।’

চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের গাড়ির বহর ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নেতা কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি মহানগরে গত ১৮ বছর বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছি। এ সময়ে বিএনপির নেতা কর্মীরা ঘরে থাকতে পারেননি। পরিবারের খোঁজ নিতে পারেননি। অনাহারে দিন কাটিয়েছেন। এ অসহায়ত্ব আমি দেখেছি।

সারা দেশে ৬০০ এর অধিক বিএনপি নেতা কর্মী গুম হয়েছেন। চট্টগ্রামসহ সারা দেশে এক লাখ মামলায় ৬০ লাখ মানুষ আসামি হয়েছে। তবুও আপনারা বিএনপির আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি।’

চসিক সূত্র জানায়, সংবর্ধনা শেষে চসিক মেয়র নগরীর জেল রোডে হজরত আমানত শাহ ও হজরত বদর শাহ এর মাজারে জেয়ারত করবেন। সেখান থেকে তিনি নগরীর লালদীঘি চসিকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনের সম্মেলন কক্ষে সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এরপর টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীকে তিন লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোটে বিজয়ী দেখিয়ে মেয়র ঘোষণা করা হয়। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেনের প্রাপ্ত ভোট দেখানো হয়েছিল ৫২ হাজার ৪৮৯।

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে নয়জনকে বিবাদী করে মামলা করেন ডা. শাহাদাত হোসেন। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় মেয়রের দায়িত্ব পালন করছিলেন রেজাউল করিম চৌধুরী।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। অন্তর্বর্তী সরকার ১৯ আগস্ট সকল সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়রদের অপসারণ করে। এর মধ্যে গত ১ অক্টোবর শাহাদাত হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন আদালত। গতকাল রোববার বাংলাদেশ সচিবালয়ে চসিক মেয়র হিসেবে তাকে শপথ পাঠ করান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা।

বান্দরবানে ট্রাকচাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

চকরিয়ায় গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় ৫ জনের নামে মামলা, স্বামী গ্রেপ্তার

চকরিয়া থানা সেন্টার মসজিদের টয়লেট থেকে মুসল্লির লাশ উদ্ধার

বিয়ের ৮ মাসের মাথায় শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

রাঙ্গুনিয়ায় গৃহবধূ হত্যা মামলায় নারী গ্রেপ্তার

পুলিশের ওপর হামলা: গ্রেপ্তার আরও ৫, বিক্ষোভ মিছিল

রামগড় ও বিলোনিয়া স্থলবন্দরের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন

কুমিল্লা মহানগর আ.লীগ নেতা কবিরুল শিকদার গ্রেপ্তার

মিরসরাইয়ে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল ৩ মোটরসাইকেল আরোহীর

সেকশন