নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সারা দেশের হাজার হাজার নেতা-কর্মী এসেছেন। এতে নগরীর পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, মিরসরাই নিজামপুর কলেজের সামনে ২০-২৫টি মাইক্রোবাসে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা করেছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির নেতারা।
আজ বুধবার দুপুর ২টা থেকে পলোগ্রাউন্ড মাঠে পূর্বঘোষিত বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউড়ি থেকে শুরু করে পলোগ্রাউন্ড মাঠের আগ পর্যন্ত মানুষ আর মানুষ। ছোট ছোট মিছিল নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুরো সড়ক দখল করে রেখেছেন। তাই পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গাড়ি চলছেই না। বিশেষ করে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সিআরবির মুখ থেকে পলোগ্রাউন্ড মাঠ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক গাড়ি আটকে আছে। এতে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা।
উত্তর ও দক্ষিণ জেলা থেকে শতাধিক বাসে করে সমাবেশে যোগ দিতে আসায় নেতা-কর্মীর চাপে এই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে বিএনপির নেতারা দাবি করেছেন, পুলিশ বিনা কারণে প্রতিটি গাড়ি থামিয়ে চেক করছে। কাগজপত্র দেখার নামে সমাবেশে আসার পথে বাধা দিতেই এই কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, মিরসরাইয়ে নিজামপুর কলেজের সামনে ২০-২৫টি মাইক্রোবাসে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা করেছেন বলে দাবি করা হয়েছে। ফেনীর দাগনভূঁইয়া থেকে আসা বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাইক্রোবাসে এই হামলা করা হয় বলে দাবি করেছেন বিএনপির নেতারা। এ ঘটনায় ফেনীর দাগনভূঁইয়ার আহ্বায়ক সাইমুন হক রাজিব, সদস্যসচিব ওয়াহিদুল আলম মানিকসহ ৪০ জন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে ফেনীর দাগনভূঁইয়ার আহ্বায়ক সাইমুন হক রাজিব বলেন, সমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে আজ সকাল ৮টার দিকে মাইক্রোবাস থামিয়ে হামলা চালানো হয়। লাঠি ও রামদা দিয়ে হামলা চালিয়ে ৪০-৫০ জনকে আহত করা হয়েছে।
সদস্যসচিব ওয়াহিদুল আলম মানিক বলেন, আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের বহনকারী গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে।