নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক স্কুলশিক্ষককে মারধরের অভিযোগে দশম শ্রেণির সাত ছাত্রকে বহিষ্কার করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার দুপুরে আড়াইহাজার সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে ডাকা জরুরি বৈঠকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) উপস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও ইশতিয়াক আহমেদ। এর আগে, ১০ জুন দুপুরে স্কুলটির শিক্ষক প্রদীপ বিশ্বাসের ওপর হামলা চালায় দশম শ্রেণির সাত শিক্ষার্থী।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ইউএনও বলেন, ‘স্থানীয় সুলতানসাদী উচ্চবিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে আড়াইহাজার সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্র উত্ত্যক্ত করে আসছিল। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে স্থানীয়রা ওই ছাত্রসহ তার কয়েকজন বন্ধুদের আটক করে সুলতানসাদী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে সোপর্দ করে। খবর পেয়ে আড়াইহাজার পাইলট স্কুলের সহকারী শিক্ষক প্রদীপ বিশ্বাস উপস্থিত হয়ে তাদের ছাড়িয়ে আনেন এবং তাদের শাসন করেন। একই সঙ্গে ভবিষ্যৎ এ এই ধরনের কাজ করলে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেন।’
এই ঘটনার পর ১০ জুন দুপুরে স্কুলের কাজ শেষে বের হলে প্রদীপ বিশ্বাসের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় দশম শ্রেণির সাত ছাত্র। তাঁকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এবং জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ওই ছাত্ররা পালিয়ে যায়। পরে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পুরো এলাকাবাসী ও শিক্ষকদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।
আজ শুক্রবার আড়াইহাজার সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইউএনও বৈঠকে বসেন। সেখানে ওই সাত শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন সরকার বলেন, ‘শিক্ষক প্রদীপ বিশ্বাসের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা বিস্মিত। এটা কাম্য ছিল না। ইউএনও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করায় তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
ইউএনও ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্তের ঘটনায় নিজের ছাত্রদের সতর্ক করে হামলার শিকার হয়েছেন প্রদীপ বিশ্বাস। আমরা স্কুলের শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে ওই সাত শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’