নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ কোটা প্রশাসন ক্যাডারের জন্য বরাদ্দ রাখা জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক ড. মুহম্মদ মফিজুর রহমান।
আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর খামারবাড়ীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) মিলনায়তনে ‘জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে প্রত্যাশিত সিভিল সার্ভিস’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। সেমিনারের আয়োজন করে আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধে আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক মফিজুর রহমান বলেন, সব ক্যাডারের পদোন্নতি প্রশাসন ক্যাডারের দয়ার ওপর নির্ভর করে। তাই তাঁদের নিজেদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে পদ না থাকলেও পদোন্নতি হয়, অন্য ক্যাডারের ক্ষেত্রে বিপরীত চিত্র দেখা যায়।
মফিজুর রহমান আরও বলেন, সরকারের খুব কাছে থাকায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডার একক ক্ষমতা ভোগ করে থাকে। যেমন সুদমুক্ত গাড়ি ঋণ, রাষ্ট্রীয় অর্থে অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ, অন্য সব ক্যাডারকে ডিঙিয়ে নিজেদের প্রাধিকার নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
প্রশাসন ক্যাডারের জন্য কোটা জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে মফিজুর রহমান আরও বলেন, ‘উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ কোটা প্রশাসন ক্যাডারের জন্য বরাদ্দের প্রস্তাবে সব ক্যাডার সদস্য ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এই কোটা প্রথা জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
সেমিনারে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আন্তক্যাডার বৈষম্য শুধু আপনাদের পদোন্নতি পাওয়ার সমস্যা না, এটা জনগণের সেবা পাওয়ার বিষয়। এখন আমলাদের একটা গোষ্ঠী তৈরি হচ্ছে, তারা রাষ্ট্রের চেয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় বেশি সক্রিয়। এই পরিস্থিতির পরিবর্তনে গণতান্ত্রিক প্রশাসন তৈরি করতে হবে।’
সেমিনারে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ আহসান হাবীব সভাপতিত্ব করেন। এতে বক্তব্য দেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ ড. শাহজাহান সাজু, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ, অধ্যাপক নাসরিন বেগম, ছাত্র প্রতিনিধি সাদেকুর রহমান সানি প্রমুখ।