নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘এখন ইউএসএ (যুক্তরাষ্ট্র), জাতিসংঘ, পশ্চিমারা আমাদের বাংলাদেশ নিয়ে বিবৃতি দিচ্ছে—এটা ভালো লাগে, গর্ব করার বিষয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিজয়ের মহানায়কের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু মানে স্বাধীনতা ও বিজয়ের শক্তি এবং সাহসের নাম। বঙ্গবন্ধু ছাড়া আমরা স্বাধীনতা, বিজয় পেতাম না।’
আজ শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএর কার্যালয়ে মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উপলক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং বিজয় দিবসের তাৎপর্য’—শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুখ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ শুরু করেছিলেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি দারিদ্র্যপীড়িত দেশকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন। স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা ও বিজয়কে অন্ধকারে পাঠিয়ে দিয়েছিল। জেনারেলদের শাসন চলছিল। আমরা স্বাধীনতার স্বাদ পাইনি। স্বাধীনতা ও বিজয়কে মূল্যহীন করে রেখেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন অহংকার করে বলতে পারি, আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছি। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতা ও বিজয়ের স্বাদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমরা মুক্তি পাইনি। শেখ হাসিনা আমাদের মুক্ত করেছেন।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এভাবে থাকতে পারি, তাহলে আমরা পথ হারাব না। শিক্ষার আলো দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশকে একটি মর্যাদায় নিয়ে গেছেন। সেই মান-মর্যাদা নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে আরও এগিয়ে যাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘’৭১ সালে সাম্রাজ্যবাদীরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়েছিল। এখন উন্নয়নের বিরুদ্ধেও তারা বক্তব্য বিবৃতি দিচ্ছে। আমরা বিজয়ী জাতি। আমরা কারও মুখাপেক্ষী থাকতে পারি না। যখন আমরা মুখাপেক্ষী ছিলাম, তখন আমরা এগোতে পারিনি। ইউএসএ, জাতিসংঘ, পশ্চিমারা আমাদের বাংলাদেশকে নিয়ে বিবৃতি দিচ্ছে—এটা ভালো লাগে, গর্ব করার বিষয়।’
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ও প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এ কে এম মতিউর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।