নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হবে আজ রোববার সকাল ৮টায়। তবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, সকাল সকাল রাস্তাঘাটে যানবাহন নেই বললেই চলে। মানুষের উপস্থিতিও হাতে গোনা। শনিবার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টা হরতাল ডাকা দল বিএনপিরও কোনো উপস্থিতি চোখে পড়েনি রাজপথে। তবে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রধান সড়ক ও গলিতে ভোটকেন্দ্রগুলোতে পুলিশ ও আনসারের সতর্ক পাহারা দেখা গেছে।
আজ সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। রাতের দিকে ভোটের ফলাফল আসতে শুরু করবে। প্রায় ২ হাজার প্রার্থীর সবাই আশা করছেন সংসদ সদস্য হবেন, সংসদে যাবেন। বিএনপি ভোট বর্জন করায় অনেকেই বলছেন, আওয়ামী লীগই ভোটে জিতে টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় যাচ্ছে।
রাজধানীর রামপুরায় প্রধান সড়কে দেখা যায় দোকানপাট এখনো খোলেনি। তবে নিম্ন আয়ের মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যে বের হয়েছেন। সড়কগুলোতে রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম্য দেখা গেছে। তবে ব্যক্তিগত ও গণপরিবহনের সংখ্যা একদমই কম।
রাজধানীর কাজীপাড়া থেকে বেগম রোকেয়া সরণি হয়ে তেজগাঁওয়ের বিজয় সরণি পর্যন্তও দেখা গেল একই চিত্র। সকাল ৭টার একটু পরপর দেখা যায়, মানুষের উপস্থিতি যেমন কম, তেমনি সড়কে নেই তেমন কোনো গাড়িঘোড়াও। তবে কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁওসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে।
পরিবহন সূত্র বলছে, ভোটের কারণে বেশির ভাগ বাস আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রিকুইজিশন দিয়ে নিয়েছে। এ ছাড়া ভোটের কাজে নিয়োজিত রাখার জন্য অনেকেই বাস ভাড়া নিয়েছেন। ফলে রাস্তায় বাসের সংখ্যা অনেক কম।
আজ দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ফলে শুক্র, শনি ও রবিবার টানা তিন দিনের ছুটি পেয়েছে রাজধানীবাসী। ছুটিতে অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন।
উল্লেখ্য, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে না বলে চলতি ভোট বর্জন করেছে বিরোধী বিএনপি। সেই সঙ্গে ভোট বর্জনের জন্য প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে দলটি। জাতীয় সংসদের ৩০০ সাধারণ আসনের মধ্যে ২৯৯ আসনে আজ ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন মোট ১ হাজার ৯৭০ প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। নওগাঁ-২ আসনে একজন বৈধ প্রার্থী মারা যাওয়ায় সেখানে ভোট গ্রহণ বাতিল করা হয়।