নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর মহাখালীর খাজা টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুজন নারী এবং একজন পুরুষ। নিহতরা হলেন—রফিকুল ইসলাম, হাসনে হেনা ও আকলিমা রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে খাজা টাওয়ারে আগুন লাগে। ১৫ তলা ভবনটিতে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ মোবাইল অপারেটর কোম্পানির সার্ভার রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের পর প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অনেকেই ভেতরে আটকা পড়েন, ছাদে আশ্রয় নেন অনেকে। এক নারী ও এক পুরুষ ভবনের পেছনে তার ধরে ঝুলে নামতে গিয়ে নিচে পড়ে আহত হন। তাঁদের মধ্যে মেহেদী হাসান নামে এক ব্যক্তি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে হাসনে হেনা নামে ওই নারী হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা গেছেন।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ছাদে আটকা পড়া মানুষদের উদ্ধার করেন। অনেকে পাশের ভবনে দড়ি ও মই বেয়ে নেমে যান।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণ আসে। তবে ভেতরে বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন পুরোপুরি নেভেনি। আগুন নেভানোর পাশাপাশি নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি চালান তাঁরা। রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ভবনটির ১৩ তলা থেকে প্রথমে রফিকুল ইসলাম নামে একজন প্রকৌশলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর রাত ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে একই তলা থেকে আকলিমা রহমান নামে আরও একজন নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা অতিরিক্ত ধোয়ার কারণে মারা গেছেন।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন বলেছেন, সামগ্রিকভাবে ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না, যদিও কিছু প্রতিষ্ঠানে অল্প ছিল। সেগুলো প্রয়োজনের তুলনায় কম। কারণ ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে প্রচুর পরিমাণ ইন্টারিয়র ডিজাইন করা ছিল। এগুলো অত্যন্ত দাহ্য। এ কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে। তবে সম্পূর্ণ নির্বাপণে সময় লাগবে।
রাত ১২টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস মোট ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী।
ভবনে অগ্নিকাণ্ডের পর মহাখালী গুলশান সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া এই ভবনে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান থাকায় রাজধানীসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন ঘটছে।