নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোনোটির নাম সতিন মোচড়, কোনোটির বধুবরন, কোনোটির আবার হৃদয়হরন—এমনই বাহারি সব পিঠা নিয়ে রাজধানীর রাপা প্লাজার জয়িতা ফাউন্ডেশনের ফুড কোর্টে শুরু হয়েছে পিঠা উৎসব।
আজ বৃহস্পতিবার পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিমিন হোসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে পিঠার প্রচলন আছে এবং পিঠাগুলো অনেকটা একই রকম। আমাদের ভাপা পিঠার মতো ভারতের ইডলি। আমরা পাটিসাপটা বলি, থাইল্যান্ডে ডিম দিয়ে সেটাই তৈরি করে এগরোল নামে। পিঠা আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। শীত-পার্বণে শহরের শিশুরা এখন আর আগের মতো পিঠা খেতে পারে না। অনেক পিঠা হারিয়ে যেতে বসেছে। এই উৎসবগুলো শিশুদের কাছে নিজেদের ঐতিহ্য সংস্কৃতি পৌঁছে দিতে ভূমিকা রাখবে।’
সতিনের সঙ্গে থাকা যেমন কষ্টের, এই পিঠা তৈরি করাও খুব কষ্টের কাজ তাই এই পিঠার নাম সতিন মোচড়—নিজের বানানো পিঠার সঙ্গে এভাবেই পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন বরিশালের মেয়ে আফসানা হক তুলি। সতিন মোচড় ছাড়াও বধুবরণ, হৃদয়হরনসহ ১০ ধরনের পিঠার পসরা সাজিয়েছেন তিনি। আফসানার মতোই ২৬ জন নারী উদ্যোক্তা অংশ নিচ্ছেন জয়িতা ফাউন্ডেশনের পিঠা উৎসবে। প্রায় ৬০ ধরনের বাহারি নাম আর ধরনের পিঠা স্থান পেয়েছে এই মেলায়।
রায়েরবাজার থেকে পিঠা উৎসবে আসা কল্লোল আহমেদ বলেন, একেক অঞ্চলে একেক রকম পিঠা পাওয়া যায়। ময়মনসিংহ অঞ্চলে শুঁটকির পিঠা খুব জনপ্রিয় বরিশালে আবার নারকেলের পিঠা বেশি বানায়। এখানে সব অঞ্চলের সব ধরনের পিঠা একসঙ্গে পাচ্ছি।
আয়োজকেরা জানান, নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি খাবার বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই জনপ্রিয়তা দেশের গণ্ডি পেড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
তিনব্যাপী এই পিঠা উৎসবের শেষ হবে আগামী শনিবার। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এই উৎসব।