নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর মহাখালীর আমতলীতে খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে ভবন থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন হাসনা হেনা ও মেহেদী হাসান। তাঁদের মহাখালী মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে হাসনা হেনাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মেট্রোপলিটন মেডিকেল সেন্টারের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক শিমুল চক্রবর্তী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শিমুল চক্রবর্তী বলেন, ‘সন্ধ্যার পর হাসনা হেনাকে নিয়ে আসেন পথচারীরা। তার দুই পা ভাঙ্গা ছিল, মাথা থেতলে গেছে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ তার স্বামী গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেছেন। কয়েক মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ। স্বামীর বাড়ি যশোর।’
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনার পর একজন নারী ও একজন পুরুষ ভবন থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে পথচারীরা তাদের দ্রুত মহাখালী মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নেন। স্বজনেরা লাশ নিয়ে গেছেন। আহত মেহেদী হাসান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন থেকে বাঁচতে ক্যাবল বা তার বেয়ে নামতে গিয়ে নিচে পড়ে যান ওই নারী। আনুমানিক ৯ তলা থেকে তিনি নিচে পড়ে যান।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ৫৮ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের তথ্য পায় ফায়ার সার্ভিস। ৫টা ৭ মিনিটে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ১৪ তলা ভবনের ১৩ তলায় এ আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণ ও আটকা পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে অভিযানে যোগ দেয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ‘আমরা সিঁড়ি দিয়ে নিচ থেকে ওপরে উঠেছি। প্রতিটি ফ্লোরে তল্লাশি চালানো হয়েছে। আমরা ১১,১২ ও ১৩ তলায় আটজনকে পেয়েছি। বাকি তলায় কাউকে পাওয়া যায়নি। ধোঁয়ায় তাদের শ্বাস কষ্ট হচ্ছিল। তাদের স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের ধারণা আর কেউ ভেতরে আটকা নেই।’