নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরসহ অন্যদের অব্যাহতির সুপারিশের বিরুদ্ধে বাদীর নারাজি আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
পরে বিচারক মো. শওকত হোসেম আগামী ২০ মার্চ আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।
ওই ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার বাদী মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া শুনানির সময় আদালতে হাজির ছিলেন। বাদী নুসরাত বলেন, ‘শুনানি হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল আদেশের জন্য তারিখ ধার্য্য করেছেন।’
গত বছর ১ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালে নারাজি আবেদন দাখিল করেছিলেন বাদী। এক বছরেরও বেশি সময় পর নারাজি আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হলো।
২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল গুলশানে নিজের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে ২১ বছর বয়সী মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। তার বোন নুসরাত কুমিল্লা থেকে এসে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনভীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন।
ওই বছরের ১৯ জুলাই সেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন। তাতে তিনি আনভীরকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন।
এরপর ওই বছরের ১৮ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী থানা-পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আনভীরকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।
এরপর নুসরাত একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা করেন।
এই মামলায় আনভীরের সঙ্গে তার বাবা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, আনভীরের মা আফরোজা সোবহান, স্ত্রী সাবরিনা সায়েম, মডেল সাইফা রহমান মিম, ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও ইব্রাহিম আহমেদ রিপনকে আসামি করা হয়।
হত্যা মামলার তদ্ন্ত করে ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন। তাতে বলা হয়, আনভীরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তদন্ত কর্মকর্তা আনভীরসহ অন্যদের মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেন আদালতের কাছে।