দিনাজপুর প্রতিনিধি
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির পাঁচ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই অভিযোগে ১৪ জনের নামে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও ৩০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ করা হয়েছে। এ ঘটনায় খনির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল বুধবার বিকেলে খনি কর্তৃপক্ষ এই আদেশ জারি করে। খনি কর্তৃপক্ষ বলছেন, চাকরি বিধি লঙ্ঘন করে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত পাঁচ কর্মকর্তা হলেন, উপ-ব্যবস্থাপক সাজ্জাদ হোসেন, উপসহকারী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান নুর, সহকারী ব্যবস্থাপক শিবলি জামান, সহকারী ব্যবস্থাপক ফয়সাল মাহমুদ ও সহকারী ব্যবস্থাপক সুশান্ত কুমার।
খনি সূত্রে জানা যায়, সরকারি সকল অফিস আদালত স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড চালু থাকলেও গত ২০২০ সালের ২৬ মার্চ থেকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির প্রধান গেট বন্ধ ও লকডাউনে রয়েছে। এর মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা খনির বাইরে আসা যাওয়া করলেও, নিম্নস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকেরা খনি অভ্যন্তরে বন্দী জীবন-যাপন করছেন। এ নিয়ে খনি অভ্যন্তরে বন্দী জীবন–যাপন করা কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে কতিপয় সরকারি কর্মকর্তা সরকারি স্বার্থের বিরুদ্ধে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল অফিস-আদালত পরিচালিত হলেও খনি অভ্যন্তরে এই অতিরিক্ত কড়াকড়ি কেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখানে চায়নিজরা কাজ করেন। এটি একটি বিশেষায়িত এলাকা হওয়ায় স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এটি করা হয় বলে তিনি ফোন রেখে দেন।