ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ে একটি রাইস মিলের বয়লার বিস্ফোরণে নিহত মা-মেয়েসহ একই পরিবারের তিনজনের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের সুখ নদের পাশে শ্মশানে দাহ করা হয় তাঁদের।
এর আগে, এদিন শীতের সকালে রোদ পোহাতে বাড়ির আঙিনায় বসে ছিলেন সাগর চন্দ্র দাস, তাঁর স্ত্রী দীপ্তি রানী, মেয়ে পূজা রায় ও তাঁর ছোট ভাইয়ের ছেলে পলক। এ সময় আচমকা বিকট শব্দ হয়ে বয়লার বিস্ফোরিত হয়ে তাঁদের ওপর পড়ে। তাতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। আহত অবস্থায় সাগর ও প্রতিবেশী নিখিলকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
সাগর দাসের ভাতিজা প্রল্লদ বৈশ্য বলেন, ‘একসঙ্গে স্ত্রী সন্তান, ভাতিজাকে হারিয়ে তাদের চিতার পাশে বসে আহাজারি করছিলেন সাগর কাকু। কাকুকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমাদের কারও জানা নেই।’
দীপ্তির বোনের স্বামী গবেশ বসাক বলেন, ‘আমার শ্যালিকা ও তাঁর পরিবারটার এভাবে দগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করা মেনে নিতে পারছি না।’
প্রতিবেশী অর্জুন রায় বলেন, ‘সাইদুল ইসলামের রাইস মিলের বয়লারের কালো ছাইয়ে আগে ৫–৬ জন মানুষের চোখের দৃষ্টি কেড়ে নেয়। মিলটির বিষয়ে এলাকাবাসী অভিযোগ দিলেও তিনি তাঁর ভাইয়ের দাপটে মিলটি চালিয়ে আসছে।’
আরেক প্রতিবেশী রাহুল রায় বলেন, রাস্তার পাশ থেকে রাইস মিলের বয়লারটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল তাঁরা। কিন্তু এলাকাবাসীর দাবিকে কোনো তোয়াক্কা করেনি রাইস মিলের মালিক সাইদুল।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবি এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, এ ঘটনায় আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে ঘটনাটির বিষয়ে তদন্ত চলছে।