ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘আমাদের চারপাশে সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্তে আমার একজন নিরপরাধ ভাইবোনকে আমরা আর ফেলানীর মতো কাঁটাতারে ঝুলে থাকতে দেখতে চাই না। আমরা স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলতে চাই, যদি আজকের পর থেকে সীমান্ত হত্যার এমন কোনো ঘটনা ঘটে, তার উপযুক্ত বিচার করা হবে। না হলে দেশের ছাত্র-জনতা ও বিজিবি মিলে কীভাবে এর জবাব দিতে হয়, সেটি আমাদের আবার একসঙ্গে দেখিয়ে দিতে হবে।’
আজ শনিবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও বড় মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সারজিস আলম এসব কথা বলেন।
উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সারজিস বলেন, ‘ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট হওয়ার পাশাপাশি আপনাদের মেধাবী সৎ রাজনীতিবিদ হয়ে উঠতে হবে। যদি সংসদে যোগ্য মানুষেরা না যেতে পারে, তাহলে ওই সংসদে তুলনামূলক অযোগ্য ওই চেয়ারটায় বসবে। আর অযোগ্যরা যদি ওই চেয়ারে বসে, তাহলে বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ যেমন একটি করাপ্টেড সিস্টেম তৈরি করেছিল, আবার নতুন করে একটি চলচ্চিত্র দেখা যাবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপনাদের রাস্তায় নেমে আসা যদি জারি না থাকে, এই অন্যায়কারীরাই অন্য কোনোরূপে আপনার সামনে এসে উপস্থিত হবে।’
ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক এমপি দবিরুল ইসলামের সমালোচনা করে সারজিস বলেন, ‘বিনা ভোটে নির্বাচিত এই এমপি নামকাওয়াস্তে কিছু টাকা দিয়ে আপনাদের জমিগুলো দখল করে নিজের নামে লিখে নিয়েছেন। এই সাবেক এমপি ওই আসনটিতে পরিবারতন্ত্র কায়েম করেছিলেন।’
সভায় সারজিস আলম বলেন, ‘চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান থেকে একটি কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বাংলাদেশে এখন থেকে যা কিছু হবে ছাত্র-জনতার রায়ের ভিত্তিতে হবে। কোনো পরিবার থেকে নয়, কোনো ফ্যাসিবাদী সিস্টেম থেকে নয়।’
এই ছাত্রনেতা বলেন, কোনো নির্দোষ ও বিনা অপরাধী ব্যক্তিকে রাজনৈতিক মামলা দিয়ে হয়রানি করা ছাত্র-জনতা সমর্থন করে না। উপস্থিত ছাত্র-জনতাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি কোনো অন্যায়কে সমর্থন করেন, মনে রাখবেন যে সিস্টেমটি চালু হবে—এটি দিয়ে কোনো না কোনো একদিন আপনি বা আপনার পরিবার অন্যায়ের শিকার হবে।’