নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় স্ত্রীর গলা কেটে পালানোর সময় স্বামী মো. নুরুন নবীকে (২৮) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করছেন এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এদিকে আহত গৃহবধূকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম বোড়াগাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিন রাতেই ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রেমের সম্পর্কের পর পাঁচ মাস আগে ওই মেয়ের সঙ্গে নীলফামারী জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামের তছির উদ্দিনের ছেলে নুরুন নবীর বিয়ে হয়। তাঁরা রাজধানীর একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। এদিকে পারিবারিক কলহের জেরে দুদিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূ বাবার বাড়িতে চলে যান। স্ত্রীর অভিমান ভাঙাতে সোমবার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়িতে যান নুরুন নবী। রাত ৯টার দিকে খাওয়ার সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে রান্নাঘরে থাকা বঁটি দিয়ে স্ত্রীর গলা ও কাঁধে আঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন নুরুন নবী। এ সময় এলাকাবাসী তাঁকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
শিল্পী আক্তারের বাবা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার কিছু সময় আগে আমি মাহিগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ি আসি। জামাই নুরুন নবী আমার সঙ্গে ভালো ভাবেই কথা বলল। এ সময় আমার মেয়ে তাকে রাতের ভাত খেতে ডাকে। কি হতে কি হলো বোঝার আগেই দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় আমার মেয়ে চিৎকার করছে, আর জামাই দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এরপর গ্রামের মানুষজন তাকে আটক করে পুলিশে দেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুরে আমার মেয়ের চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনায় আমি রাতেই ডোমার থানায় মামলা করেছি।’
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘নূরুন নবী তার স্ত্রীর গলা কেটে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর হাতে আটক হয়েছে। এ ঘটনায় আহত শিল্পী আক্তারের বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। নুরুন নবীকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’