সুবল রায়, বিরল (দিনাজপুর)
ডিজিটাল বাংলাদেশ ও সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সরকারের নতুন সেবা ‘তথ্য আপা’। এটি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা দিনাজপুরের বিরল উপজেলায়। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন সহায়তা, জেন্ডার ও ব্যবসার উন্নয়নসহ সমাজে সুবিধাবঞ্চিত নারীরা ‘তথ্য আপা’র সেবা পেয়ে হচ্ছেন আলোকিত। এতে আত্মনির্ভরতা বাড়ছে বঞ্চিত নারীদের।
সমাজের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগেই এখন দরজায় কড়া নাড়ছে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা। বাড়িতে এসে খবর নিচ্ছেন শারীরিক অবস্থার। এ ছাড়া প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে প্রাথমিক পরীক্ষাও করছেন স্বাস্থ্যের।
শুধু স্বাস্থ্যসেবাই নয়, কৃষি, শিক্ষা, আইন সহায়তা, জেন্ডার ও ব্যবসার উন্নয়নসহ সমাজে পিছিয়ে পড়া নারীদের বিভিন্ন তথ্যসেবা দিয়ে আধুনিক যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন ‘তথ্য আপা’র কর্মীরা। এতে উপকৃত হচ্ছেন সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীরা।
‘তথ্য আপা’র সুবিধাভোগী নারীরা জানান, এখন আর তাঁদের কারও ওপর ভরসা করতে হয় না। ‘তথ্য আপা’ই যেন তাঁদের আগামী দিনের চলার পথ সুগম করে দিয়েছে।
বিরল উপজেলা ‘তথ্য আপা’র তথ্য সেবা কর্মকর্তা রশিদা খাতুন জানান, নারীদের ক্ষমতায়নের জন্যই এই প্রকল্প নিয়েছে সরকার। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তারা নারীদের আত্মনির্ভরশীল করে তোলার কাজ করে যাচ্ছেন। ‘তথ্য আপা’র কেন্দ্রের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এবং উঠান বৈঠকের মাধ্যমে এই সেবা দেওয়া হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত এই উপজেলায় ১৬ হাজার নারীকে সেবার আওতায় আনা হয়েছে।
স্থানীয় নারীরা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, কারও মুখাপেক্ষী হয়ে নয়, ‘তথ্য আপা’র কাছ থেকে সম্যক ধারণা নিয়ে সমাজের প্রত্যেক সুবিধাবঞ্চিত নারী আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবে। এ ছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পাশাপাশি দেশকে এগিয়ে নিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।