ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
নীলফামারী ডিমলার একটি ইউনিয়নে বরাদ্দ দেওয়া কৃষি প্রণোদনার সার-বীজ পাননি তালিকাভুক্ত কৃষকেরা। এমনকি কৃষকেরা প্রণোদনার খবরও জানেন না। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
কৃষকদের অভিযোগ, তাদের নাম–ঠিকানা ব্যবহার করে উপজেলা কৃষি অফিসের এক কর্মকর্তা সরকারি প্রণোদনার বিনা মূল্যে সার–বীজ আত্মসাৎ করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে সরকারি প্রণোদনায় বিনা মূল্যে ধানের বীজ–সার প্রদানের জন্য কৃষকদের নামের তালিকা করেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান আলী। তালিকা অনুযায়ী কৃষকদের মধ্যে কৃষি অফিস থেকে বীজ ও সার প্রদান করা হয়। কিন্তু তালিকায় নাম থাকলেও তারা প্রণোদনার বীজ-সার পাননি।
সে সময় কৃষি অফিসে গেলে শাহজাহান আলী তাদের জানান, পরবর্তী ধাপে দেওয়া হবে। তবে বীজ বপনের মৌসুম শেষ হলেও এখন পর্যন্ত তারা কিছুই পাননি। বিষয়টি তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও জানিয়েছেন।
অভিযোগকারী এক কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, প্রণোদনার সার-বীজ দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ও ছবি নেন শাহজাহান আলী। কৃষি অফিসের প্রণোদনার তালিকায় তার নাম থাকলেও কিছুই পাননি তিনি। পরে বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে বেশি দামে ধানের বীজ কিনে আবাদ শুরু করেন তিনি।
শুধু কৃষক মিজানুর রহমানই নয়। তার মতো ওই ইউনিয়নের অন্তত ২৫ জন কৃষকের একই অবস্থা। তালিকায় নাম থাকলেও তারা সরকারি প্রণোদনা পাননি। অনেকেই জানে না সার-বীজ বিতরণের খবর। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান আলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও সাড়া মেলেনি।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে তদন্তের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ অনিয়ম পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।