ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. আখতার ফারুক ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ১ এপ্রিল দুদকের সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেন বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেন। আখতারের স্ত্রী শিরীন আক্তার একই অফিসে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) পদে কর্মরত।
ঠাকুরগাঁও দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আখতার ফারুক ও তাঁর স্ত্রী শিরীন আক্তারের বিরুদ্ধে কমিশন থেকে অভিযোগ আসার পর তদন্ত শুরু করে ঠাকুরগাঁও দুদক। তাঁরা দুজন লিখিতভাবে তাঁদের দায়িত্ব ও সম্পত্তি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দুদকে দাখিল করেছেন। তাঁদের সম্পদ বিবরণী থেকে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আখতার ফারুকের বিরুদ্ধে ৩৩ লাখ ৯২ হাজার ৬২১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া যায়। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অপরাধে ফারুকের নামে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় মামলা করা হয়। এ সময় ফারুকের স্ত্রী শিরীন আক্তারের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ৫৬ লাখ ৮২ হাজার ৬৮৯ টাকার সম্পদ অর্জন ও তা ভোগ দখলে রাখার অপরাধে দুদক আইনে অপর মামলাটি করা হয়।
দুদকের মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. আখতার ফারুক বলেন, ‘মামলা হওয়ার বিষয়টি আদালত বা দুদক কেউ আমাকে জানায়নি। অভিযোগ হাতে পেলে এ বিষয়ে কথা বলব।’ সরকারি চাকরি ছাড়া অন্য কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেন।
দুদকের ঠাকুরগাঁও জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ‘আখতার ফারুক ও তাঁর স্ত্রী শিরীন আক্তারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পত্তি অর্জনের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে মামলা হয়েছে। আশা করি, তিন মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে পারব।’
মামলা হওয়ার বিষয়টি অভিযুক্তরা জানে কি না এ প্রসঙ্গে দুদকের উপপরিচালক বলেন, ‘মামলার বিষয়টি দুদকের প্রধান কার্যালয় হয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যায়। তখন অভিযুক্তরা ওই মন্ত্রণালয় থেকে জানতে পারেন। সরাসরি অভিযুক্তদের আমরা চিঠি দিই না।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল বাশার মো. সায়েদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলা হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে অফিশিয়ালি এখনো কোনো কাগজপত্র পাইনি। চিঠি পেলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’