এএফপি, লন্ডন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানের প্রভাবে নতুন রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছায় বিটকয়েনের দর। ক্রিপ্টোকারেন্সি খাতকে ডিরেগুলেশন করার অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণ না করার ইঙ্গিত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিচ্ছেন ট্রাম্প।
গতকাল সোমবার বিটকয়েনের দাম ১ লাখ ৯ হাজার ২৪১ ডলারের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে; পরে কিছুটা কমে ১ লাখ ৭ হাজার ৫০০ ডলারে স্থির হয়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন ট্রাম্প নির্বাচনে জয়ের পর থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিসেম্বরের শুরুতে এটি প্রথমবারের মতো ১ লাখ ডলার অতিক্রম করে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি সমর্থক পল অ্যাটকিনসকে ট্রাম্প মার্কিন সিকিউরিটিজ নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান হিসেবে মনোনীত করার পর এই শিল্পে ডিরেগুলেশনের আশাবাদ আরও বেড়ে যায়। একসময় ট্রাম্প ক্রিপ্টোকারেন্সিকে ‘প্রতারণা’ বললেও এখন তিনি এর বড় সমর্থক হয়ে উঠেছেন এবং নির্বাচনী প্রচারণায় এর পক্ষে বক্তব্যও দিয়েছেন।
সপ্তাহান্তে ট্রাম্প নিজের নামে ক্রিপ্টোকারেন্সি $TRUMP চালু করেন, যা মিম কয়েন হিসেবে পরিচিত। এরপর বাজারে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং এর বাজারমূল্য কয়েক বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়।
সুইসকোট ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ইপেক ওজকারডেস্কায়া বলেন, ‘ট্রাম্পের নীতিগুলো মিশ্র প্রভাব ফেলতে পারে। তার প্রবৃদ্ধিমুখী ও ডিরেগুলেশনের নীতি অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক হলেও শুল্ক নীতিমালার কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
ক্রিপ্টোকারেন্সি বরাবরই আলোচনায় রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে এর উচ্চমূল্যের অস্থিরতা এবং উল্লেখযোগ্য কিছু প্রতিষ্ঠানের পতন, বিশেষত এফটিএক্স এক্সচেঞ্জের ধস। ২০০৮ সালে সতোশি নাকামোটো ছদ্মনামে একজন ব্যক্তি বা দল বিটকয়েনের ধারণা দেন। এটি মূলধারার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিকল্প হিসেবে একটি বিকেন্দ্রীভূত প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্য নিয়ে চালু করা হয়েছিল।