হোম > বিশ্ব > ভারত

সাইফ আলী খানের পরিবারের ১৫ হাজার কোটি রুপির সম্পত্তি যাচ্ছে ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণে

অনলাইন ডেস্ক    

বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান। ছবি: এএফপি

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সাইফ আলী খানের পতৌদি প্রাসাদসহ প্রায় ১৫ হাজার কোটি রুপির সম্পত্তি ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। গত ১৭ জানুয়ারি এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শত্রু সম্পত্তি আইন ১৯৬৮–এর আওতায় ভারত সরকার এসব সম্পত্তি অধিগ্রহণ করছে। এতে করে সাইফ আলী খানের পরিবারের এত দিনের মালিকানা হাতছাড়া হয়ে যাবে। ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের গুরুগ্রাম জেলায় এই পতৌদি প্রাসাদ বা ইব্রাহিম কোঠি অবস্থিত।

আজ বুধবার গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব সম্পত্তি কেড়ে নেওয়া হবে তার মধ্যে রয়েছে— সাইফ আলী খানের শৈশবের বাসস্থান ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউস, নূর-উস-সাবাহ প্যালেস, দার-উস-সালাম, হাবিবি বাংলো, আহমেদাবাদ প্যালেস এবং কোহেফিজা সম্পত্তিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

সাইফ আলী খানের পতৌদি প্রাসাদ। ছবি: সংগৃহীত

এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির বিরোধের কেন্দ্রে রয়েছেন ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লাহ খান। তাঁর তিন মেয়ে। বড় মেয়ে আবিদা সুলতান ১৯৫০ সালে পাকিস্তানে চলে যান। মেজ মেয়ে সাজিদা সুলতান ভারতে থেকে নবাব ইফতিখার আলী খান পতৌদিকে বিয়ে করেন এবং আইনি উত্তরাধিকারী হন। এভাবেই সাজিদার নাতি সাইফ আলী খান এই সম্পত্তির অংশীদার হন।

সাইফ আলী খানের পতৌদি প্রাসাদ। ছবি: সংগৃহীত

তবে আবিদা সুলতান পাকিস্তানে চলে যাওয়ায় ভারত সরকার এসব সম্পত্তিকে শত্রু সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। যদিও ২০১৯ সালের এক রায়ে সাজিদা সুলতানকে আইনি উত্তরাধিকারী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল, তবে সাম্প্রতিক রায় আবারও বিষয়টিকে জটিল করে তুলেছে।

আদালতে রায় প্রদানকালে বিচারপতি বিবেক আগরওয়াল সংশোধিত শত্রু সম্পত্তি আইন, ২০১৭–এর অধীনে আইনি প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ তুলে ধরেন। তিনি সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে নির্দেশ দেন, ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করলে সময়সীমার বিষয়টি উপেক্ষা করে মামলাটি তার মূল দাবির ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।

১৯৬৫ সালের ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে প্রণীত শত্রু সম্পত্তি আইন ১৯৬৮, পাকিস্তান ও চীনে স্থানান্তরিত ব্যক্তিদের রেখে যাওয়া সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রণয়ন করা হয়।

সাইফ আলী খানের পতৌদি প্রাসাদ। ছবি: সংগৃহীত

২০১৭ সালে এই আইনে সংশোধনী এনে বলা হয়, উত্তরাধিকাররাও এই শত্রু সম্পত্তির মালিকানা দাবি করতে পারবেন না। এই আইনের আওতায়, এসব সম্পত্তির মালিকানা ভারতের শত্রু সম্পত্তি হিসেবে রাষ্ট্রীয় রক্ষক সংস্থার হাতে ন্যস্ত থাকবে।

আদালতের রায়ের পর এসব সম্পত্তিতে বসবাস করা বাসিন্দারা চিন্তায় পড়েছেন। প্রায় দেড় লাখ বাসিন্দা এই সম্পত্তিগুলোতে বসবাস করছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই এখন উচ্ছেদের আশঙ্কা করছেন। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলেও আইনি লড়াইয়ের সুযোগ এখনো রয়েছে।

এ নিয়ে ভোপালের কালেক্টর কৌশলেন্দ্র বিক্রম সিং জানিয়েছেন, ৭২ বছরের সম্পত্তির মালিকানার নথি যাচাই করা হবে। যেসব জমিতে মানুষ বসবাস করছেন, তাঁদের ভাড়াটিয়া হিসেবে গণ্য করা হতে পারে।

ভারতে আগুন আতঙ্কে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেওয়া যাত্রীদের ধাক্কা অপর ট্রেনের, নিহত ১১

ভারতে মকবুল ফিদা হুসেনের দুটি চিত্রকর্ম বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

কাশ্মীরের ৩ পরিবারে ১৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু, নড়েচড়ে বসেছে ভারত সরকার

ভারতে বড়লোকের পরের বিয়েটি আদানি পরিবারে

ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্র নীতিতে ভারতের প্রাধান্য

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া হতে পারে ১৮ হাজারের বেশি ভারতীয়কে

‘এনকাউন্টারে’ নিহত মাওবাদী নেতা, ১ কোটি রুপি মাথার দাম কে পাবে

কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যায় সঞ্জয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

বাংলাদেশে যেন বিনা মেঘে বজ্রপাতের মুখে পড়েছে আদানি পাওয়ার

সাইফ আলীকে ছুরিকাঘাত: সন্দেহভাজনকে বাংলাদেশি বলছে পুলিশ, প্রমাণ নেই বলছেন আইনজীবী

সেকশন