প্রতিনিধি, অভয়নগর (যশোর)
যশোর অভয়নগর উপজেলায় স্বামী কনার মন্ডলের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও তাঁর সন্তানকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার দুপুরে নওয়াপাড়া প্রেস ক্লাবের সামনে নিহতের পরিবার, ইউনিয়নবাসী ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে অভিযুক্ত স্বামীর শাস্তির দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ।
নিহতের পরিবার ও বক্তাদের অভিযোগ, প্রভাষক কনার মন্ডলের পরকীয়া প্রেমের বিষয় তাঁর স্ত্রী পিয়া মন্ডল জেনে যান। যে কারণে কনার পরিকল্পিতভাবে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও তিন বছরের কন্যা সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। পরে হত্যাকাণ্ডকে আত্মহত্যায় পরিণত করতে গলায় ফাঁস দিয়ে মৃতদেহ দুটি রান্নাঘরে ঝুলিয়ে রাখেন। ঘাতক কনার মন্ডলকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তাঁরা।
ঘণ্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান তারু, পায়রা ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম, নিহতের আত্মীয় শিক্ষক শীতল কান্তি মন্ডল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ আলম প্রমুখ।
জানা যায়, অভয়নগর উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের দত্তগাতী গ্রামের ভগিরথ মন্ডলের মেয়ে পিয়া মন্ডলের সঙ্গে মণিরামপুর উপজেলার সুজতপুর গ্রামের ননি গোপাল মন্ডলের ছেলে মশিয়াহাটী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক কনার মন্ডলের বিয়ে হয়। পরবর্তীতে তাঁদের সংসারে আসে একটি কন্যা সন্তান। তার নাম রাখা হয় কথা মন্ডল (৩)। গত শনিবার (৭ আগস্ট) আনুমানিক ৩টার সময় কনার মন্ডলের বাসার রান্নাঘর থেকে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী পিয়া ও একমাত্র কন্যা কথার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে থানা–পুলিশ।