হোম > ছাপা সংস্করণ

কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা ঠাকুরগাঁওয়ে

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২১, ২২: ৪৮

ঠাকুরগাঁও থেকে দেখা যাচ্ছে নেপালে অবস্থিত হিমালয়ের দ্বিতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা। গত শনিবার থেকে সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের বুঁড়িরবাধ এলাকা থেকে দেখা মিলছে পর্বতশৃঙ্গের।

স্থানীয়রা জানান, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত হালকা শীতের সময় জেলার পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও শহর থেকে এই পর্বতচূড়া দেখা যায়। এসব অঞ্চল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গেলেও স্পষ্ট দেখা যায় বুড়িরবাঁধ এলাকায়।

বুড়িরবাঁধের স্থানীয় বাসিন্দা জাহিদুল বলেন, কাঞ্চনজঙ্ঘার দিকে যতবার তাকিয়ে থাকি মন জুড়িয়ে যায়। এর প্রতি টান কখনো কমে না। প্রতিবছর এ সময়ে এ দৃশ্য দেখা মিলে।

নীলফামারী থেকে আসা মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, ‘শীতের সময়টিতে ঠাকুরগাঁও থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায় এই খবর শুনে পরিবার নিয়ে এসেছি। ওপারে যাওয়ার পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই দেখা যাচ্ছে পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা।’

সহপাঠীদের নিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে আসা কলেজ শিক্ষার্থী নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আজ (রোববার) সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য দেখে মন জুড়িয়ে গেছে। সত্যিই অসাধারণ এই পাহাড়ের দৃশ্য।’

আকচা এলাকার প্রশান্ত কুমার বলেন, ‘পঞ্চগড় ছাড়াও ঠাকুরগাঁও থেকেই খালি চোখে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পেয়েছি, এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’

কাঞ্চনজঙ্ঘা উপভোগ করার মোক্ষম সময় সম্পর্কে স্থানীয়রা জানান, ভোর থেকে সকাল ১০টা এবং পড়ন্ত বিকেলে বরফের গায়ে সোনালি রোদমাখা কাঞ্চনজঙ্ঘা নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখা মিলে। ভোরের আলোয় এবং বিকেলে পর্বতচূড়াটি পোড়া মাটির রঙ নেয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা ঝাপসা হয়ে আসে। তখন রঙ হয় সাদা। দূর থেকে মনে হয় এ যেন আকাশের গায়ে এক খণ্ড বরফ। কেবল মেঘমুক্ত ও কুয়াশামুক্ত গাঢ় নীল আকাশ থাকলেই দেখা দেয় হিমালয়ের এই পর্বতশৃঙ্গ। তবে আকাশে মেঘ বা কুয়াশা থাকলে অনেক সময় নিরাশ হয়ে ফিরে যেতে হয় দর্শনার্থীদের।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (ইএসডিও) নির্বাহী পরিচালক মুহম্মদ শহীদ উজ জামান বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের গোবিন্দনগর এলাকায় আমার নিজস্ব অফিসের ৫ তলা ভবনের ছাদ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বত সুন্দরভাবে দেখা যায়। সে জন্য ভবনের ওপরে আলাদাভাবে ছাদ তৈরি করেছি। অফিসের কর্মীরা যেন কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য দেখতে পান।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান বলেন, ‘ভ্রমণ পিপাসুসহ স্থানীয়রা শীতের আমেজে রুপালি কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন। আমি নিজেও এ দৃশ্য উপভোগ করি। এখানকার মানুষ বেশ আন্তরিক এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ভালো। তাই ভ্রমণপিপাসু আর পর্যটকেরা অনায়াসেই এসে ঘুরে যেতে পারেন ঠাকুরগাঁওয়ে।’

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

সেকশন