হোম > ছাপা সংস্করণ

বিদ্যালয়ের তালাবদ্ধ কক্ষে রাতে চলছিল বৈদ্যুতিক পাখা

ফরিদপুর সংবাদদাতা

আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১৩: ৩৯

সারা দেশে সরকারের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী ও সচেতন হতে বললেও ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে উল্টো চিত্র দেখা গেছে। উপজেলার ডাংগারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে গত সোমবার গভীর রাতেও চলছিল বৈদ্যুতিক ফ্যান। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায়ই রাতভর স্কুলটিতে বৈদ্যুতিক ফ্যান ও লাইটগুলো জ্বালিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গত সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ওই স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে, স্কুলটির একটি রুমের মধ্যে ফ্যান চলছে। রুমটি বাইরে থেকে তালা দেওয়া। রুমের অন্য দরজাগুলো ছিল বন্ধ।

স্থানীয় বাসিন্দা আজমত হোসেন বলেন, প্রায়ই স্কুলে রাতভর লাইট-ফ্যান জ্বালিয়ে রাখা হয়। স্কুলের দপ্তরি ফরিদ শেখকে বারবার বলা হয়েছে, কিন্তু তাতে তিনি কোনো কর্ণপাত করেননি। কর্তৃপক্ষের দায়িত্বের অবহেলায় রাতের বেলায়ও বিদ্যুতের অপব্যবহার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ইসমাইল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাত পৌনে ১১টার দিকে তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং বিদ্যালয়ে ফ্যান চলছে দেখতে পান। পরে স্কুলের দপ্তরি ফরিদ শেখকে তিনি এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে ফরিদ ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন।

ওই বিদ্যালয়ের দপ্তরি ফরিদ শেখ বলেন, সারা দিন বিদ্যুৎ ছিল না। তাই ভুলে ফ্যানের সুইচ বন্ধ করা হয়নি। এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে অভিযোগ রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর আগে কখনো এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।

ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজিম উদ্দিন বলেন, এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সেদিকে খেয়াল রাখতে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

সেকশন