অনলাইন ডেস্ক
গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয় স্থানীয় সময় গত রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে। এরপর দুই দিনে অঞ্চলটিতে প্রবেশ করেছে ১ হাজার ৫৪৫ ট্রাক ত্রাণ। এর মধ্যে গতকাল সোমবার মোট ৯ শতাধিক ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থা ইউএনওসিএইচএ জানিয়েছে, সোমবার ৯ শতাধিক ট্রাক মানবিক সাহায্য নিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে। এই সংখ্যা ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির দৈনিক লক্ষ্য অতিক্রম করেছে। চুক্তি অনুসারে, যুদ্ধবিরতি চলাকালে গাজায় দৈনিক ৬০০ ট্রাক ত্রাণ প্রবেশের কথা আছে।
ইউএনওসিএইচএ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মানবিক সাহায্য গাজা অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটি পরিকল্পিত এক অভিযানের অংশ, যাতে অঞ্চলটিতে বেঁচে থাকা মানুষের জন্য সহায়তা বাড়ানো যায়।’ সংস্থাটি আরও বলছে, ‘ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, ‘সোমবার ৯১৫টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে।’
এর আগে যুদ্ধবিরতি শুরুর দিনে, অর্থাৎ রোববার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার দিনে গাজায় ৬৩০ ট্রাক ত্রাণ প্রবেশ করে। যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক গাজায় প্রবেশের কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরু হয় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর। এরপর পেরিয়ে যায় ১৫ মাসের বেশি সময়। এই সময়ে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারায় ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি। ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনির লাশের ওপর দিয়ে অবশেষে অঞ্চলটিতে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ হাজার ৮৯৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার ৭২৫ জন আহত হয়েছে। অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছে। উদ্ধারকর্মীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।