অনলাইন ডেস্ক
মুষলধারে বৃষ্টির কারণে উপসাগরীয় দেশগুলোতে দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা। মরুর দেশগুলোতে জলাবদ্ধতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলের প্রদেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫০ লাখ ঘনমিটারের বেশি পানি পাম্প করে অপসারণ করা হয়েছে।
প্রদেশের মেয়রের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, টানা দুই দিনের বৃষ্টির পর জরুরি উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত বাহিনী বৃষ্টির পানি সরানোর জন্য প্রায় ৫২ লাখ ঘনমিটার পানি পাম্প করেছে। পাম্প করার নানা সরঞ্জাম নিয়ে প্রায় ৩ হাজার ১০০ উদ্ধারকর্মী প্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাঁদের কার্যক্রম চালান।
মেয়রের কার্যালয়ের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, উদ্ধারকর্মীরা ৩৩৬টি বন্যাকবলিত স্থানে পরিবেশকর্মীদের ১১৫টি দল নিয়ে কার্যক্রম চালিয়েছেন। জলাবদ্ধ স্থান ও ময়লার কনটেইনারে তাঁরা জীবাণুনাশক ছিটিয়ে দেন।
যেসব এলাকায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই, ওই সব এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এসব এলাকা থেকে বৃষ্টির পানি সরানোর জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
চলতি সপ্তাহে সৌদি আরবের বিভিন্ন অংশে সরাসরি শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করেছে শিক্ষা কর্তৃপক্ষ। বৈরী আবহাওয়ার জন্য অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের শহরগুলোতে মাঝারি থেকে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি প্রবল বাতাস, শিলাবৃষ্টি, বজ্রপাত ও বন্যা দেখা দিয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পূর্বাঞ্চলীয় শহর দাম্মামের কিং ফাহাদ রোডের একটি গুরুত্বপূর্ণ টানেল বন্ধ করে দেয় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। পরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যান চলাচলের জন্য টানেলটি খুলে দেওয়া হয়।
সৌদি আরবের জাতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের (এনসিএম) মুখপাত্র হুসেইন আল কাহতানি বলেন, চলতি সপ্তাহে পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের মুনিফাহ শহরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এক ঘণ্টায় ৪২ মিলিমিটার ছাড়িয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে বৃষ্টিপাত এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে উল্লেখ করে জনগণকে সতর্কতা অবলম্বন এবং এনসিএমের প্রতিবেদনগুলো অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন এই কর্মকর্তা।