নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থেকে আয়া পর্যন্ত একই পরিবারের ১৬ জনের চাকরি পাওয়ার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিষয়টি তদন্ত করে আগামী চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে ‘এক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক থেকে আয়া পর্যন্ত সবাই একই পরিবারের’ এবং ‘এক স্কুলে প্রধান শিক্ষকসহ একই পরিবারের ১৬ জন কর্মরত, যা জানা গেল’ শিরোনামে দুটি নিউজ পোর্টালে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে গণমাধ্যমে আসা বিভিন্ন প্রতিবেদন যুক্ত করে গত বছরের ২২ অক্টোবর রিট করেন কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা মো. আইয়ূব আলী।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজ বিন ইউসুফ। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদ্যালয়টিতে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করতে ও বেআইনি নিয়োগপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে তাঁদের এমপিও বাতিলে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।’
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের কবিরাজের বাজারে অবস্থিত কিশামত বদি উচ্চ বিদ্যালয়। সেখানে প্রধান শিক্ষক থেকে আয়া পর্যন্ত ১৬ জন একই পরিবারের। আওয়ামী লীগ সমর্থক প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে এসব করেছেন।