হোম > জাতীয়

কোটা আন্দোলন ঘিরে গ্রেপ্তার ১০ হাজার ছাড়াল: এমএসএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় সারা দেশে ৭৯৮টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ১০ হাজার ৩৭২ জন। মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) ‘মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদন জুলাই ২০২৪’-এ এসব তথ্য জানিয়েছে। আজ বুধবার সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সমাধানযোগ্য একটি সমস্যাকে শুধু দায়িত্বহীন বক্তব্য, উসকানিমূলক আচরণ, অসহিষ্ণুতা, ক্ষমতার দম্ভ, নাগরিকদের প্রতি তুচ্ছতাচ্ছিল্য ও জবাবদিহিহীন শাসনব্যবস্থা কীভাবে ভয়ংকর পর্যায়ে নিয়ে গেছে—সেটা সাধারণ নাগরিকেরা দেখে স্তম্ভিত হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট সহিংস পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলি-ব্রাশফায়ার ও সংঘর্ষে ১৬ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ অন্তত ২৬৬ জন মারা গেছেন বলে দাবি আন্দোলনকারীদের; যা নিঃসন্দেহে বিচার–বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। অন্যদিকে, সরকারি সূত্র ১৫০ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, পুলিশ ২১টি লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে আন্জুমান মহিদুল ইসলামকে দাফন করার জন্য দিয়েছে।

এমএসএফ বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার কথা কোনো মামলায় স্পষ্ট বলা হয়নি। এমনকি রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ প্রকাশ্যে পুলিশের গুলিতে নিহত হলেও মামলার এজাহারে তা এড়িয়ে যাওয়া হয়।

আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় মামলার মধ্যে ২০০ মামলায় আসামি করা হয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষকে, যাদের অধিকাংশই অজ্ঞাত। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের একটি বড় অংশ বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এবং দল দুটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার মামলায় এ পর্যন্ত ঢাকাসহ ১৮টি জেলায় কথিত নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২৫৯ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এমএসএফ মনে করে, জুলাই মাসেও সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র উদ্বেগজনক। জুলাই মাসের ১৪টি ঘটনায় ২১ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ৮ জন সাংবাদিক তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আহত ও আক্রমণের শিকার হয়েছেন, হুমকির সম্মুখীন তিনজন, লাঞ্ছিত হয়েছেন চারজন এবং দুটি মামলা হয়েছে ছয়জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে।

এর মধ্যে একটি মামলা করা হয়েছে সাইবার নিরাপত্তা আইনে। কোটা আন্দোলনের ঘটনার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত চারজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ছররা গুলিতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ জন সাংবাদিক। গুলিবিদ্ধ বা হামলার শিকার হয়ে অন্তত ২২৪ জন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ৬৭ জনের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর।

এমএসএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুলাই মাসে কারা হেফাজতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গত মাসে এ সংখ্যা ছিল ১০ জন। জুলাই মাসে সাইবার নিরাপত্তা আইনে চারটি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন ১৯ জন ব্যক্তি। এমএসএফ কর্তৃক সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী জুলাই মাসে সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক গুলিতে একজন ভারতীয় নারীসহ দুজন নিহত, গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন তিন বাংলাদেশি নাগরিক।

এ মাসে বিভিন্ন পর্যায়ে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু নির্যাতনের তিনটি ঘটনা ঘটেছে। এ মাসে ২৬৩টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে যা গত মাসের তুলনায় ৩৩টি কম। এ মাসে ধর্ষণের ঘটনা ৪১টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ১৩টি, ধর্ষণ ও হত্যা ১টি। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭ জন প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোরী। এ মাসে অন্তত ৭টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ৪ জন নিহত ও ৩ জন গুরুতরভাবে আহত হয়েছে।

নতুন ভোটার যাচাই: জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পাচ্ছেন শিক্ষকেরা

নথিতে কাজ সমাপ্ত, প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় শোকজ

মেনিনজাইটিসের টিকা নিতে হবে সৌদি যেতে

ভাতা নয়, সঞ্চয়পত্র কিনে দিচ্ছে সরকার

বিদ্যালয়ে একই পরিবারের ১৬ জনের চাকরি, তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

অস্ত্র মামলায় সাজা থেকে গিয়াস আল মামুনকে খালাস দিলেন হাইকোর্ট

ছয় বছরের শিশু ও গর্ভবতী নারীও গুমের শিকার হয়: কমিশনের প্রতিবেদন

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের তথ্য নিতে হাসপাতালে যাবে ইসি

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের মেয়াদ ফের বাড়ল

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের চাকরির ব্যবস্থা হচ্ছে, সিভি আহ্বান

সেকশন