ক্রীড়া ডেস্ক
বক্সিং রিংয়ে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে চলেছেন অ্যান্থনি জোশুয়া। ৩১ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ বক্সার এখন পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছেন ২৪টি, যার ২২টিতেই প্রতিপক্ষকে নকআউটের মাধ্যমে কুপোকাত করেছেন তিনি।
তবে জোশুয়ার কাজটা এবার মোটেও সহজ হবে না। আজ রাতে লন্ডনের টটেনহাম হটস্পার স্টেডিয়ামে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী যে ওলেক্সান্দার ইউসিক! ইউক্রেনের এই বক্সার পেশাদার ক্যারিয়ারে কখনো হারের স্বাদ পাননি। ইউসিকের বিপক্ষে জোশুয়ার আজকের লড়াইটিকে তাই ‘জীবনের কঠিনতম পরীক্ষা’ বলছে একাধিক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম।
সবচেয়ে বড় ম্যাচের আগে জোশুয়া কিছু না বললেও তাঁর ফিজিও রব মেডেন জানিয়েছেন, ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতার বক্সার কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেন।
২০১৩ সাল থেকে জোশুয়ার ফিজিও হিসেবে কাজ করে আসছেন মেডেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘জোশুয়ার চোখধাঁধানো পারফরম্যান্সের বেশ কয়েকটি স্তম্ভ আছে। সেগুলো হলো—শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি, পুষ্টিকর খাবার ও বিশ্রাম।’
বড় ম্যাচগুলোতে জোশুয়ার ভালো করার রহস্য জানাতে গিয়ে রীতিমতো চমকে দিয়েছেন মেডেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই সে পর্যাপ্ত ঘুমায়। তবে ম্যাচের দিনটিতে একদমই ব্যতিক্রম। এদিন মাত্র দুই ঘণ্টা ঘুমায় সে। আর রিংয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে নিজেকে উজ্জীবিত রাখতে ক্যাফেইন গ্রহণ করে।’
জোশুয়ার থাকার পরিবেশ নিয়ে মেডেনের ভাষ্য, ‘তার রুমটা যেন শব্দ প্রতিরোধক হয়, সে ব্যাপারে আমরা সজাগ থাকি। সবচেয়ে ভালো বিছানার ব্যবস্থা করি। তাপমাত্রা কম এবং রুম যেন অন্ধকার থাকে, সেদিকেও নজর দিই। বলতে গেলে তার রুমটিকে শীতল গুহায় পরিণত করি। এটিও তার সাফল্যের একটি রহস্য।
ইউক্রেনের ওলেক্সান্দার ইউসিক এখন পর্যন্ত ১৮টি পেশাদার ম্যাচ খেলে রয়েছেন অপরাজিত। আজ নিশ্চয়ই তাঁকে প্রথম হারের স্বাদ দিতে চাইবেন জোশুয়া।