অনলাইন ডেস্ক
প্রায়ই দেখা যায়, পথেঘাটে কোনো মানুষকে বিপদে পড়তে দেখেও অবলীলায় নিজের কাজে চলে যাচ্ছি আমরা। বিপদে পড়া কোনো কুকুর-বিড়াল বা বন্যপ্রাণীর জন্য পরিস্থিতিটা নিঃসন্দেহে আরও কঠিন। তবে মুদ্রার অন্য পিঠও আছে। একটি বিড়ালকে বাঁচাতে পাইপের ভেতরে হামাগুড়ি দিয়ে ৫০ গজ পাড়ি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক নারী কর্মকর্তা।
ফ্লোরিডার পশুকল্যাণ কর্মকর্তারা ড্রেনের পাইপের ভেতর থেকে কান্নার শব্দ শুনতে পান। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গিয়ে বুঝতে পারেন একটি বিড়ালছানা আটকা পড়েছে সেখানে। তারপর প্রাণীটিকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন তাঁরা।
এসক্যাম্বিয়া কাউন্টি অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার জানায়, কাউন্টি শেরিফ অফিসের একজন কর্মী এসক্যাম্বিয়া রিজওনাল জুভেনাইল ডিটেনশন সেন্টারের কাছে একটি ড্রেনেজ পাইপের ভেতর থেকে বিড়ালছানার ডাক শুনতে পান। তাঁর কাছ থেকে খবরটি পেয়ে কাউন্টির প্রধান পশুকল্যাণ কর্মকর্তা সার্জেন্ট মেরিডেথ রবারসন ঘটনাস্থলে যান।
প্রথমে বিড়ালছানাকে পাইপের মুখের দিকে টেনে আনতে একটা মা বিড়ালের ভিডিও চালান।
‘আমি একটা মা বিড়ালের ডাকের শব্দ বাজালাম। তারপর পাইপ বা সুড়ঙ্গের ভেতরে অনেক দূরে তার ছোট ছোট চোখজোড়া জ্বলতে দেখলাম।’ রবারসন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন।
তবে তাঁর এই কৌশল ব্যর্থ হয়, যখন বিড়ালছানাটি কাছে আসতে অস্বীকার করে। রবারসন এবার সত্যি বিপদে পড়লেন। তবে কী করতে হবে তা নিয়ে বিন্দুমাত্র দ্বিধায় ভুগলেন না। একটি হেডল্যাম্প পরে পাইপে প্রবেশ করেন। বিড়ালছানাটির কাছে পৌঁছাতে তাঁকে প্রায় ৫০ গজ রাস্তায় হামাগুড়ি দিয়ে যেতে হয়েছিল বলে জানান তিনি।
‘ওখানে হামাগুড়ি দিয়ে যাওয়ার সময় একটু ভয় লাগছিল যে অস্বীকার করব না’ বলেন তিনি, ‘আমি খুব কৃতজ্ঞ যে এ ধরনের কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। অবশ্য কাজটি যথাসম্ভব ভালোভাবে করার প্রশিক্ষণও পেয়েছি আমি।’
এ ঘটনার পর বিড়ালছানাটির নাম এখন রাখা হয়েছে পাইপস। তাকে একজন পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পরীক্ষার জন্য। খুব শিগগিরই তাকে এসক্যাম্বিয়া কাউন্টি অ্যানিমেল শেল্টারে দত্তক নেওয়ার জন্য রাখা হবে। অবশ্য এত মিষ্টি একটি বিড়ালছানাকে দত্তক নেওয়ার লোকের অভাব হবে বলে মনে হয় না।