বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম থেকেই শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়েছিলেন অনেক তারকা। এই তালিকায় আছেন সংগীতশিল্পী তাসরিফ খান। গত ৫ জুলাই থেকে বিভিন্ন পোস্ট, কবিতা ও ‘রাজার রাজ্যে সবাই গোলাম’ গান শেয়ার করে শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি। এ কারণে মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তাসরিফ, পেয়েছিলেন হুমকি। জীবন বাঁচাতে আত্মগোপনে থাকতে হয়েছিল তাসরিফকে।
ফেসবুকে সেই সময়ের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তাসরিফ জানান, ২৩ জুলাই রাতে সিনিয়র এক ইনফ্লুয়েন্সার তাঁকে চা পানের কথা বলে ডেকে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মুখোমুখি করান। তারপর শুরু ভয়ানক মানসিক নির্যাতন। সেই ইনফ্লুয়েন্সার তাঁকে জানান, আওয়ামী লীগ সরকার আরও সাত-আট বছর ক্ষমতায় থাকবে। তাদের হয়ে কাজ করতে হবে। এর বাইরে কোনো রাস্তা নেই।
এরপর তাঁকে বলা হয়, তাদের দেওয়া স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী ভিডিও বানাতে হবে। কাজের বিনিময়ে তাসরিফকে তিন লাখ টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এমন সময় তাসরিফের ব্যান্ডের ড্রামার শান্ত ফোন করে জানান, কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাঁকে নির্যাতন করছেন। ভয় পেয়ে যান তাসরিফ। তাই তাদের কাছ থেকে টাকা নেন। বুঝতে পেরেছিলেন, তাদের কথা না শুনলে গুম হয়ে যেতে পারেন তিনি। সেই রাতেই ম্যানেজার আয়মান সাবিদকে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে বাড়ি ছাড়েন তাসরিফ।
সবশেষ তাসরিফ লেখেন, ‘কয়েকটা পোস্ট, কবিতা লেখা আর “রাজার রাজ্যে সবাই গোলাম”-এর মতো কিছু গান করা ছাড়া দেশের জন্য তেমন কিছুই করতে পারিনি। আবু সাঈদের মতো পথে যেয়ে বুক পেতে দিতে পারিনি। হয়তোবা এতটুকু সাহস আমার তখন হয় নাই। তবে, আল্লাহ জানেন আর আমি জানি, আমি টাকার কাছে বিক্রি হইনি, দেশের সঙ্গে বেইমানি করিনি।’