নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সময়টা ১৯৭১, পাশ্চাত্যের গানের দল বিটলস্ এর উন্মাদনা তখন বিশ্বজুড়ে। দুনিয়াজোড়া সংগীতপ্রেমী তরুণদের মাঝে বিটলস্ এর জয়গান। ঠিক সেই সময়ে যুদ্ধ নামক অশান্তির আগুনে পুড়ছিল প্রাচ্যের ‘বাংলাদেশ’ নামের আজকের জনপদটি। পাকিস্তানি শাসকের আগ্রাসী থাবায় যুদ্ধাহত সেদিনের বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ভুবনখ্যাত বিটলস্’-এর মহাতারকা জর্জ হ্যারিসন ও ভারতের কিংবদন্তি সেতারবাদক রবি শংকর।
নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ারের সেই স্মৃতিবিজড়িত ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের সঙ্গে। যার প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন ভারতের রবি শংকর। ৫০ বছর পরে সেই ম্যাডিসন স্কয়ারেই অনুষ্ঠিত হলো ‘গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্ট’। জমকালো আয়োজন আর গৌরবের ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সমৃদ্ধ বর্তমানকে উদ্যাপন করেছে বাংলাদেশ। যার মধ্য দিয়ে আবারও ফিরে এল হ্যারিসন-রবি শংকরের স্মৃতি।
‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’এর স্মৃতিচারণ এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও মুজিব বর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে গত ৬ মে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগ। ‘লেট দ্য মিউজিক স্পিক’ শিরোনামের এই আয়োজনে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত ব্যান্ড স্করপিয়নস-এর সঙ্গে সংগীত পরিবেশন করে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড চিরকুটও।
বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, অপরাজিতা হক ও নুরুল আমিন শিল্পী কাদেরি কিবরিয়ার সঙ্গে জাতীয় সংগীতে কণ্ঠ মেলান।
স্বাগত বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক কনসার্ট আয়োজনের কারণ তুলে ধরেন। তিনি জানান, কনসার্ট থেকে পাওয়া অর্থে দরিদ্র ও অনুন্নত দেশগুলোর শিশুদের সাইবার নিরাপত্তায় ব্যয় হবে। আর ইউএনডিপি সঙ্গে মিলে কাজটি করা হবে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিদেশিসহ হাজারো প্রবাসী বাঙালি উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। কনসার্টে ২০ হাজার আসনবিশিষ্ট মিলনায়তনের অধিকাংশই পরিপূর্ণ ছিল। দর্শক সারিতে বেশির ভাগ ছিলেন আমেরিকান। বিমুগ্ধ চিত্তে তারা পুরো অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।