বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কার পাচ্ছেন তাঁরা। এবার সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। আজ শুক্রবার (১৫ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পুরস্কার পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনুভূতি এখন প্রকাশ করব না এই কারণে, আমি আপনাদের মতোই বিজ্ঞপ্তি দেখেছি। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এখনো আমাকে কিছু জানানো হয়নি। কেউ যোগাযোগ করেনি। সরকার থেকে কিছু জানানোর পর তা বলতে পারব।’
মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান আরও বলেন, ‘তবে একটা ব্যাপার বলতে পারি, আমি একটা কারণে অনেক খুশি। পুরস্কারের জন্য আমাকে কোনো আবেদন করতে হয়নি। আমি কোনো আবেদন করিনি, কাউকে দিয়ে সুপারিশও কখনো করাইনি। কে আবেদন করেছে তা-ও আমি জানি না। এই কারণেই আমার খুশিটা বেশি।’
আধুনিক, চলচ্চিত্র ও দেশাত্মবোধক গানে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান অবদান রেখেছেন। বিশেষ করে চলচ্চিত্রের গানে তাঁর অবদান অনন্য। তাঁর লেখা বহু গান আমাদের চলচ্চিত্রের গানের ভান্ডারকে উজ্জ্বলতর ও সমৃদ্ধ করেছে।
মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৪ সালে ‘চন্দ্রনাথ’, ১৯৮৬ সালে ‘শুভদা’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকার এবং ২০০৮ সালে ‘মেঘের কোলে রোদ’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ কাহিনিকারের জাতীয় চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ জেলার লক্ষ্মীপুরের ফুরসুন্দিতে মামাবাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। যশোর জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন (এসএসসি), সরকারি মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
১৯৬৮ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ বেতারে চাকরি করেন। পরবর্তীকালে ২০০৪ সালে লন্ডনের ‘চ্যানেল এস’-এ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন এবং ২০০৭ সালে বৈশাখী টেলিভিশনে অনুষ্ঠান প্রধান হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি।