ভানু গোপাল রায়, ঢাকা
আশি-নব্বইয়ের দশক ছিল পেস বোলিং অলরাউন্ডারদের স্বর্ণযুগ। এ সময়ে ইয়ান বোথাম, ইমরান খান, রিচার্ড হ্যাডলি ও কপিল দেবরা ব্যাটে-বলে রাজত্ব করেছেন মাঠে। তাঁদের দেখানো পথ ধরে এখন এসেছেন বেন স্টোকস-হার্দিক পান্ডিয়ারা। তাঁদের মতো অলরাউন্ডারদের পেতে আগ্রহী প্রতিটি দল।
সাদা বলের ক্রিকেট বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে অলরাউন্ডারের কদর সবচেয়ে বেশি। ২০ ওভারের ক্রিকেটে জেনুইন ব্যাটার কিংবা বোলারের জায়গায় একজন খাঁটি অলরাউন্ডার থাকলে যেকোনো দলেরই ‘অপশন’ বেড়ে যায় অনেক। এবারের আইপিএলে নতুন নিয়ম ‘ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়’ অবশ্য নড়বড়ে করে দিচ্ছে অলরাউন্ডারদের জায়গাও। তাঁদের কাজটা একজন স্বীকৃত ব্যাটার এবং বোলারকে দিয়েই করানো যাচ্ছে। এ নিয়মে একটা দল যেকোনো সময় একজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে পারে।
আগে ব্যাটিং করলে একাদশে একজন ব্যাটার বেশি আর বোলিংয়ের সময় একজন ব্যাটার বসিয়ে বোলার নামাচ্ছে দলগুলো। আগে ফিল্ডিং করলে এর বিপরীত। এতে দলগুলো অলরাউন্ডারদের দিকে মনোযোগ না দিয়ে খাঁটি ব্যাটার কিংবা বোলারে আস্থা রাখছে। ভবিষ্যতে যদি ক্রিকেটের সব সংস্করণে এই নিয়ম চালু হয়, স্বাভাবিকভাবেই অলরাউন্ডারদের কদর কমে যাবে। তখন টিম ম্যানেজমেন্ট আবার বিশেষজ্ঞ ব্যাটার বা বোলারকে বেশি গুরুত্ব দেবে।
এ নিয়মে যে অলরাউন্ডাররা ঝুঁকিতে থাকবেন, এবারের আইপিএল শুরুর আগ থেকেই বলে আসছেন টম মুডি-রিকি পন্টিং। আইপিএলের আগে সৈয়দ মুস্তাক আলী ট্রফিতে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম পরীক্ষামূলক দেখেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। সেখানে অবশ্য ১৪ ওভার শেষে একজন খেলোয়াড় বদলি নামতে পারতেন। আইপিএলে যখন-তখন করা যাচ্ছে। ভারতের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশে ১০ ওভার পরে ‘এক্স ফ্যাক্টর’ নিয়মে একজন খেলোয়াড় নামানোর নিয়ম ছিল। পরে অবশ্য সে নিয়ম থেকে সরে এসেছে তারা। ভারত ওই নিয়মটাই একটু আপডেট করে কার্যকর করার চেষ্টা করছে। অলরাউন্ডারদের ঝুঁকির সঙ্গে আরও কিছু বিষয় উঠে এসেছে ইমপ্যাক্টের নিয়মে।
কোচ-অধিনায়কের কৌশল প্রয়োগের জায়গা কমে আসছে, স্থানীয় ক্রিকেটারদের খেলার সুযোগ বাড়ছে, চোটে পড়া খেলোয়াড়ের দ্রুত সমাধানের সুযোগ করে দিচ্ছে এই নিয়ম।