আমজাদ ইউনুস
কিছু হতভাগ্য মানুষদের ওপর ফেরেশতারা অভিশাপ দেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের কথা এখানে তুলে ধরা হলো—
এক. আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার সাহাবিগণকে গালি দেয়, তার ওপর আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতা ও সব মানুষের অভিশাপ।’ (আল মুজামুল কাবির)
দুই. আলি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘সব মুসলমানের সন্ধি ও চুক্তি এক। সবচেয়ে নিচু শ্রেণির একজন মুসলমান সন্ধি ও চুক্তি করতে পারে। যে ব্যক্তি মুসলমানদের সঙ্গে সন্ধি ও চুক্তি ভঙ্গ করবে, তার ওপর আল্লাহ তাআলা, ফেরেশতাকুল ও সব মুসলমানের অভিশাপ। কেয়ামতের দিন তার ফরজ, নফল কোনো ইবাদতই গ্রহণ করা হবে না।’ (বুখারি)
তিন. আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে দুজন ফেরেশতা অবতরণ করেন, একজন বলেন, হে আল্লাহ, দানকারীর সম্পদ বাড়িয়ে দাও এবং অন্যজন বলেন, হে আল্লাহ, যে দান করে না তার সম্পদ ধ্বংস করে দাও।’ (বুখারি)
চার. আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের দিকে কোনো লোহা দিয়ে ইশারা করে, তার ওপর ফেরেশতারা অভিশাপ করেন; যদিও সে তার সহোদর ভাইয়ের দিকে ইশারা করে।’ (মুসলিম)
পাঁচ. ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অজান্তে নিহত হলো বা পাথর, চাবুক বা লাঠি নিক্ষেপের কারণে মারা গেল, এর জন্য ভুল করে হত্যার জরিমানা দিতে হবে। কিন্তু যাকে ইচ্ছাকৃতভাব হত্যা করা হবে, তাতে দণ্ডবিধি প্রযোজ্য হবে এবং যে ব্যক্তি এ দণ্ডবিধি প্রয়োগে বাধা দান করবে, তার ওপর আল্লাহ তাআলা, ফেরেশতাকুল ও সকল মানুষের অভিশাপ।...’ (আবু দাউদ)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক