ভাঙ্গা প্রতিনিধি
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় দুলাল সিকদার নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার বিকেলে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ এলাকায় ঘটা সংঘর্ষে দুলাল সিকদারের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুদিন ধরে ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চার নম্বর ওয়ার্ডের মুনসুরাবাদ গ্রামের নির্বাচিত ইউপি সদস্য আলম মোল্লা ও পরাজিত সদস্য প্রার্থী বাবর আলীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এর জেরে গত মঙ্গলবার সকালে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। কিন্তু হঠাৎ করেই গতকাল বিকেলে উভয় পক্ষ আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় কয়েকজন আহত হন। আহতদের মধ্যে দুলাল সিকদারও ছিলেন বলে জানা যায়।
নিহত দুলাল শিকদারের ভাই শহিদুল শিকদার বলেন, ‘বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নবনির্বাচিত মেম্বার আলম মোল্লার পক্ষের লোকজন আমার ভাই দুলাল শিকদার কে একা পেয়ে কিল-ঘুষি মারে এবং লাঠি দিয়ে পিটায়। এতে আমার ভাই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তাঁকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ভাঙ্গা সার্কেল পুলিশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফামিদা কাদের চৌধুরী জানান, ‘গতকালের ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। তবে দুলাল সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়ে মারা গেছেন নাকি স্ট্রোক করে মারা গেছেন তা নিয়ে সন্দেহ আছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।’
এদিকে দুলাল শিকদার মৃত্যুতে এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।