বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আজ সংগীতজ্ঞ আলাউদ্দীন আলীর প্রয়াণ দিবস। ২০২০ সালের এই দিনে প্রয়াত হন তিনি। তিনি ছিলেন একাধারে সুরকার, গীতিকার। মৃত্যুর আগে তিনি ফুসফুসের প্রদাহ ও রক্তে সংক্রমণের সমস্যায় ভুগছিলেন। আলাউদ্দীন আলীর প্রয়াত স্ত্রী সালমা সুলতানা ছিলেন নজরুলসংগীতশিল্পী এবং সংগীতশিল্পী আবিদা সুলতানা, শওকত আলী ইমন ও মোহাম্মদ সুমনের বোন। সালমা সুলতানা ও আলাউদ্দীন আলীর সন্তান আলিফ আলাউদ্দীন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও উপস্থাপক। আলাউদ্দীন আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী মিমি আলাউদ্দীনও একজন আধুনিক গানের শিল্পী।
আলাউদ্দীন আলীর জন্ম ১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর। তাঁর বাবা ওস্তাদ জাবেদ আলী। মায়ের নাম জোহরা খাতুন। সংগীত আবহে বেড়ে ওঠা আলাউদ্দীন আলী উচ্চাঙ্গসংগীতে তালিম নিয়েছেন চাচা সাদেক আলী ও বাবার কাছে। কিশোর বয়স থেকেই বেহালা বাজাতেন তিনি। বেহালা বাদন দিয়েই ১৯৬৮ সালে সিনেমার গানে নাম লেখান আলাউদ্দীন আলী। কাজ শুরু করেন আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে। এরপর কাজ করেছেন আনোয়ার পারভেজের সহযোগী হিসেবে। সংগীত পরিচালক সুবল দাস, আলী হোসেন, খান আতাউর রহমান, খন্দকার নুরুল আলম, সত্য সাহা, আনোয়ার পারভেজের মতো গুণীদের সঙ্গেও কাজ করেছেন, নিজেকে ঋদ্ধ করেছেন।
১৯৭৪ সালে মীর মোহাম্মদ হালিমের ‘সন্ধিক্ষণ’ সিনেমায় প্রথম সুর করেন আলাউদ্দীন আলী। ১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটিতে আসেনি তাঁর সাফল্য। ১৯৭৮ সালে আমজাদ হোসেনের ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ সিনেমায় গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা ও সৈয়দ আব্দুল হাদীর গাওয়া ‘আছেন আমার মোক্তার’ এবং আমজাদ হোসেনের লেখা ও সাবিনা ইয়াসমীনের গাওয়া ‘হায় রে কপাল মন্দ, চোখ থাকিতে অন্ধ’ গান দুটি সুরকার হিসেবে জনপ্রিয়তা এনে দেয় আলাউদ্দীন আলীকে, এনে দেয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সেই থেকে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন আলাউদ্দীন আলী। আমৃত্যু গানেই ছিল তাঁর ধ্যান আর জ্ঞান।
আলাউদ্দীন আলীর তৈরি জনপ্রিয় কিছু গান