হোম > ছাপা সংস্করণ

অধিকাংশ প্রার্থী ব্যবসায়ী, আছেন কোটিপতিও

লবীব আহমদ, সিলেট

সিলেটের বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৭ প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে ব্যবসায়ী রয়েছেন ১১ জন। আছেন কোটিপতি প্রার্থীও। 

আগামী ২৯ মে হতে যাওয়া নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই চিত্র দেখা গেছে। আরও দেখা গেছে, শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক দিয়ে ১৫ জনের বিভিন্ন ধরনের সনদ থাকলেও দুজন নিজেদের স্বশিক্ষিত দাবি করেছেন।

ফেঞ্চুগঞ্জ: বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম এসএসসি পাস ও ব্যবসায়ী। পাঁচ বছরের ব্যবধানে তাঁর বার্ষিক আয় ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৩০ লাখ ৭০ হাজার টাকা হয়েছে। অস্থাবর সম্পদ ৭৮ লাখ ৩২ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা হয়েছে। স্থাবর সম্পদ রয়েছে ৮০ লাখ টাকার। আগে ব্যাংক ঋণ না থাকলেও এখন আছে ৮০ লাখ টাকা।

আরেক প্রার্থী আসফাকুল ইসলাম এসএসসি পাস ও ব্যবসায়ী। বছরে আয় ৪ লাখ টাকা। অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ৫ লাখ টাকার। জাহিরুল ইসলামও এসএসসি পাস ও ব্যবসায়ী। বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদ ৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পদ ২৫ লাখ টাকার কৃষিজমি এবং যৌথ মালিকানার একটি বাড়ি। সুলতানা রাজিয়া আইনজীবী। বছরে আয় ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদ ১০ লাখ ৬০ হাজার টাকার। আব্দুল বাছিত টুটুল এমএ পাস ও ব্যবসায়ী। বছরে আয় আড়াই লাখ টাকা। অস্থাবর সম্পদ ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পদ ১০ লাখ টাকার ফ্ল্যাট এবং ৩ একর কৃষিজমি ও ১ একর অকৃষিজমি। ব্যাংকঋণ রয়েছে ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

বিয়ানীবাজার: বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব বিএ পাস ও খামারি। বছরে আয় ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদ ১ লাখ ৫১ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পদ ২ লাখ টাকার ৪১ শতক অকৃষিজমি ও ৩১ শতক কৃষিজমি। ব্যাংকঋণ ১০ লাখ টাকা।
অন্য প্রার্থীদের মধ্যে মোহাম্মদ গৌছ উদ্দিন এইচএসসি পাস। তাঁর বছরে আয় ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদ ১৫ লাখ ৮১ হাজার টাকা। জাহির উদ্দিন এমএ ও এলএলবি পাস এবং পেশায় শিক্ষক। বছরে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা আয়। অস্থাবর সম্পদ ৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পদ ১ লাখ টাকার দুটি কক্ষ রয়েছে।

আতাউর রহমান খান স্বশিক্ষিত ও ব্যবসায়ী। বছরে আয় ৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদ ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা আর স্থাবর সম্পদ ৩৫ লাখ টাকা। দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম বিএ পাস ও ব্যবসায়ী। বছরে আয় ৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদ ৩ লাখ ৬২ হাজার টাকা। আব্দুল বারী এমএ পাস ও ব্যবসায়ী। বছরে আয় ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদ ১০ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।
মোহাম্মদ জাকির হোসেন এমএসএস পাস ও ব্যবসায়ী। বছরে আয় ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদ ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা। মোহাম্মদ জামাল হোসেন এসএসসি পাস। বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদ ৪১ হাজার টাকা। জাকির হোসেন স্বশিক্ষিত ও ব্যবসায়ী। বছরে আয় ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদ ২১ লাখ ৭৩ হাজার ৫৩২ টাকা।

বালাগঞ্জ: বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান নবম শ্রেণি পাস ও মৎস্যজীবী। পাঁচ বছরের ব্যবধানে তাঁর বার্ষিক আয় ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা হয়েছে। অস্থাবর সম্পদ আছে ৪ লাখ ৫২ হাজার টাকার। 

অন্য প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সামস উদ্দিন বিএ পাস ও ব্যবসায়ী। বছরে আয় করেন ৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদ ৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পদ ৩ লাখ টাকার দোকান এবং ১ লাখ টাকার ২ শতক জায়গা। আনহার মিয়া এইচএসসি পাস ও ব্যবসায়ী। আয় সাড়ে ৪ লাখ টাকা। অস্থাবর সম্পদ ১২ লাখ টাকা। স্থাবর সম্পদ কৃষিজমি ১০ কেদার ১১ শতক, অকৃষিজমি ৬৯ শতক ও ৪১ শতকের বাড়ি।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন