নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
করোনাভাইরাসের দাপটে গত দুই বছর অনেকটা ছোট পরিসরে সামাজিক দূরত্ব মেনে বুদ্ধপূর্ণিমা উদ্যাপন করা হয়েছিল চট্টগ্রামে। এবার পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো হওয়ায় সাড়ম্বরে বুদ্ধপূর্ণিমা উদ্যাপন করেছেন বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা।
গতকাল রোববার এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলায় ৩২৪টি ও নগরীতে ৩১ টিসহ মোট ৩৫৫টি বৌদ্ধমন্দিরে আয়োজন করা হয় বুদ্ধ পূর্ণিমার নানা অনুষ্ঠান। দিনভর নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পর এসব মন্দিরে সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় সম্মিলিত প্রার্থনা ও মোমবাতি প্রজ্বালন।
গতকাল সকাল থেকে থেকে নগরীর নন্দনকানন বৌদ্ধবিহারে বৌদ্ধধর্মের অনুসারীরা আসতে শুরু করেন। পাশাপাশি অন্য বৌদ্ধমন্দিরগুলোতেও নামে ভিড়। পূজা আর ভিক্ষুদের সেবা দিয়ে জগৎ ও জীবের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনায় অংশ নেন তাঁরা।
বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে সকালে শোভাযাত্রা বের করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। নগরীর আন্দরকিল্লায় পুরোনো নগর ভবন থেকে বের হওয়া শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত মেয়র গিয়াস উদ্দিন।
গিয়াস উদ্দিন এ সময় বলেন, ‘গৌতম বুদ্ধের আদর্শ ধারণ ও লালন করে আমাদের এই দেশকে শান্তির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে। হাজার বছর ধরে আমাদের এই ভূখণ্ডে সব ধর্মের মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে নিজ নিজ ধর্মের আচার অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে পালন করে আসছে। এই দেশে ধর্ম যার যার উৎসব সবার।’
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী, পুলক খাস্তগীর, চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়সেন বড়ুয়া, বোধিমিত্র বড়ুয়া, জ্যোতিপ্রিয় বড়ুয়া, বিভাস বড়ুয়া, বিক্রম বড়ুয়া, রিপন বড়ুয়া।
এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসেও (চমেক) একই দিন শোভাযাত্রা বের করে চমেক বৌদ্ধ ছাত্র সংসদ ও চমেক বৌদ্ধ পূর্ণিমা উদ্যাপন পরিষদ। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন বেসরকারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউএসটিসি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চমেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার, চমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. অংসুই প্রু মারমা, বিএমএ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী প্রমুখ।