নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের নতুন টার্ফের সঙ্গে ফটোফিনিশিং মেশিন এবং আরও আনুষঙ্গিক জিনিসের চাহিদা ছিল বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের। গতকাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) অ্যাথলেটিকসের হাতে কোটি টাকার ফটোফিনিশিং মেশিন বুঝিয়ে দিয়েছে। চাহিদামতো দামি যন্ত্র পেয়েও দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন।
২০১০ এসএ গেমসের জন্য এক যুগ আগে সব শেষ ফটোফিনিশিং মেশিন পেয়েছিল অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। সেই যন্ত্রের কার্যকারিতা ফুরানোর পর সব শেষ কয়েকটি জাতীয় অ্যাথলেটিকস হয়েছে হ্যান্ড টাইমিংয়ে। নতুন ফটোফিনিশিং মেশিন আরও উন্নত, প্রয়োজন হয় তিনটি ল্যাপটপের। বেলজিয়ামের প্রতিষ্ঠান টাইমট্রনিকস থেকে আসা বিদেশি অপারেটর গতকাল কিছু মৌলিক বিষয় বুঝিয়ে দিলেও এ নিয়ে চিন্তায় ফেডারেশন। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিব মন্টু বললেন, ‘ফটোফিনিশিং মেশিনের সঙ্গে যদি ভালো অপারেটর নিয়োগ করা না হয়...আমরা এসব একটু এমনিই কম ভালো বুঝি। এটা এনএসসি যদি অপারেট করে, আর বেতনভুক্ত দুজন অপারেটর যদি দেওয়া হয়, খুবই ভালো হয়। আর এর রক্ষণাবেক্ষণের খুব প্রয়োজন, জায়গা প্রয়োজন। প্রতি সপ্তাহে মেশিনের ব্যাটারি চার্জ করা লাগে। একজন অপারেটর যদি এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব না নেন, তাহলে কিছুদিন পরেই ব্যাটারি বসে যাওয়ার শঙ্কা থাকবে।’
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের আশপাশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এ নিয়েও দুশ্চিন্তা দেখালেন আবদুর রকিব। তাঁর মন্তব্য, কোটি টাকার মেশিন ফেডারেশন কক্ষে রাখা প্রায় অসম্ভব। যন্ত্র কেনার সময় এনএসসি তাদের সঙ্গে আলোচনা করেনি বলে দাবি তাঁর, ‘আমাদের নিয়ে বসে আলোচনা করা উচিত ছিল। আমাদের জিম, মেশিন রাখার ভালো ভালো জায়গার প্রয়োজন, নিরাপদ জায়গার প্রয়োজন। এনএসসির উচিত আমাদের ভালো জায়গার ব্যবস্থা করে দেওয়া।’