সিলেট প্রতিনিধি
সিলেট বিভাগে এক বছরে প্রায় ২৬ হাজার যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তবে সারা দেশের অবস্থা বিবেচনায় সিলেট বেশ ভালো অবস্থানে আছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি। এ ছাড়া জেলায় ২০২১ সালে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির মাধ্যমে মোট ৮ হাজার ৩৮৪ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানায় হীড বাংলাদেশ।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সারা দেশের মতো সিলেটেও বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালিত হয়েছে। এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল ‘বিনিয়োগ করি যক্ষ্মা নির্মূলে, জীবন বাঁচাই সবাই মিলে’। দিবসটি পালন উপলক্ষে স্বাস্থ্য বিভাগ সিলেট ও সিভিল সার্জন সিলেট অফিসের যৌথ আয়োজনে এবং হীড বাংলাদেশ, ব্র্যাক, নাটাব, আশার আলো সোসাইটি, সেভ দ্য চিলড্রেন, উজ্জীবনসহ বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর চৌহাট্টায় স্বাস্থ্য ভবন থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জানানো হয়, বর্তমানে সিলেট জেলায় ২৫টি মাইক্রোস্কোপি ও ডটস সেন্টার, একটি ইকিউএ ল্যাব, ১০টি জিন এক্সপার্ট ল্যাব এবং একটি বায়োসেফটি ল্যাবের মাধ্যমে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
সভায় আরও জানানো হয়, সিলেট জেলায় ২০২১ সালে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির মাধ্যমে সর্বমোট ৮ হাজার ৩৮৪ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে কফে যক্ষ্মা জীবাণুযুক্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৭২৪ জন। কফে জীবাণুমুক্ত ১ হাজার ২৮৪ ও ফুসফুস বহির্ভূত ১ হাজার ৩৭৬ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। ১৫ বছরের কম বয়সের ৩১১ জন শিশু যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে। সব ধরনের যক্ষ্মা রোগী চিহ্নিতকরণের হার ১৭৪.৯৩ শতাংশ। প্রতি লাখ জনগোষ্ঠীতে ২০২০ সালে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় সব ধরনের যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসার সাফল্যের হার শতকরা ৯৬.৮৫। ২০২১ সালে ২২ হাজার ৩৯২ জন রোগী পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৪৩ জনকে ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করে চিকিৎসার আওতায় আনা হয়।
সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহরিয়ারের সভাপতিত্বে সভা উদ্বোধন করেন সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায়। প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহ।