হোম > ছাপা সংস্করণ

বাংলাদেশের সামনে ফাইনালের হাতছানি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নেপালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ধাক্কা। গোলশূন্য ড্র করে বাংলাদেশ। টানা দ্বিতীয় ফাইনাল খেলতে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে তাই এক পয়েন্ট হলেও আদায় করতে হতো মারিয়া মান্ডাদের। এক পয়েন্ট নয়, প্রতিবেশীদের হারিয়ে পুরো তিন পয়েন্ট নিয়েই ফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রাখল সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে গতকাল ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল  করে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন শামসুন্নাহার সিনিয়র। এই গোলটিই শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য বাংলাদেশের পক্ষে নির্ধারণ করে দিয়েছে। তিন ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ উঠেছে টেবিলের শীর্ষে। আগামীকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হার এড়ালেই চলবে। যারা শেষ তিন ম্যাচে গোল হজম করেছে ১৬টি।

ভুটানের বিপক্ষে ৬-০ গোলে জয় পাওয়া ম্যাচের একাদশকে অপরিবর্তিত রেখেই ভারতের বিপক্ষে দল সাজিয়েছিলেন বাংলাদেশ কোচ। ম্যাচের প্রথম আক্রমণ থেকেই আসে সাফল্য। বক্সের মধ্যে তহুরা খাতুনকে ফাউল করেন ক্রিতিবা দেবী, সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে লাল-সবুজদের এগিয়ে নেন শামসুন্নাহার সিনিয়র। বলের দিকে ঝাঁপালেও নাগাল পাননি ভারতের গোলরক্ষক আনশিকা।

গোলের পর প্রথমার্ধটা ছিল দুই দলের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের লড়াই। ৩৭ মিনিটে আঁখি খাতুনের চেষ্টা রুখে দেন ভারতের গোলরক্ষক। মাঝমাঠের খানিকটা সামনে থেকে আঁখি খাতুনের দূরপাল্লার ফ্রিকিক জায়গায় দাঁড়িয়ে হাত দিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন ভারতের গোলরক্ষক। ৪৩ মিনিটে বল জালে জড়িয়েছিলেন শামসুন্নাহার জুনিয়র; কিন্তু অফসাইডের কারণে গোল বাতিল করেন রেফারি।

প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের সুযোগ নষ্টে ব্যতিব্যস্ত ছিল দুই দল। ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে, তবে ৫৭ মিনিটে ভারতকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক আনশিকা।

ঋতুপর্ণার কর্নার থেকে হেড করেন আঁখি; কিন্তু টপ কর্নারে হাত বাড়িয়ে কর্নারের বিনিময়ে বাইরে ঠেলে দেন আনশিকা। ৬৩ মিনিটে অল্পের জন্য রক্ষা পায় বাংলাদেশ। গোলরক্ষক রুপনা চাকমা জায়গা ছেড়ে বের হয়ে এলে সুমাতি কুমারীর চিপ শট জাল খুঁজে পায়নি। ম্যাচের বাকি সময় আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।

জয় এলেও পুরো ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে পরিষ্কার কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবু দিন শেষে জয় পেয়েই খুশি বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন, ‘ভারতের বিপক্ষে জয়ে আমরা অনেকটাই ফাইনালের পথে এগিয়ে গেলাম। আমরা আশা করেছিলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটা ম্যাচ হবে। আমাদের দলও ভালো। দুই দলই প্রথম থেকে ভালো ফুটবল খেলার চেষ্টা করেছে। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ হয়েছে। যেহেতু ভারত হারছিল, দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১৫-২০ মিনিট তারা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলবে। মেয়েদের এই চাপটা সামাল দিতে হতো। আমি মনে করি, তারা এই চাপ সামলে ভারতের ওপর পাল্টা চড়াও হয়েছে।’

বিরতির বাঁশি বাজতেই রেফারি পাবাসারার দিকে তেড়ে যান ভারত কোচ অ্যামব্রোক্স অ্যালেক্স। কারণ হিসেবে জানা যায়, ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে দেওয়া পেনাল্টির সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি তিনি। তাই রেফারির উদ্দেশে তেড়ে গিয়েছিলেন অ্যালেক্স। তবে অ্যালেক্সকে কোনো কার্ড দেখাননি রেফারি। রেফারির দিকে কেন তেড়ে গিয়েছিলেন—এমন প্রশ্নে ভারত কোচের উত্তর, ‘আমি রেফারিকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়েছিলাম।’

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন