পটুয়াখালী প্রতিনিধি
বহুতল ভবন কিংবা স্থাপনায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষের তদারকি থাকলেও পটুয়াখালী-ঢাকা নৌরুটে চলাচলকারী বহুতল লঞ্চগুলোতে নেই কোনো তদারকি। বেশির ভাগ লঞ্চেই নেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। ফলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
এদিকে লঞ্চের সৌন্দর্য বাড়াতে উল্টো লোহার কাঠামোতে ব্যবহার করা হয় কাঠ, প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ। আগুন লাগলে যা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়তে পারে পুরো লঞ্চে। পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন লঞ্চঘাট থেকে ঢাকায় প্রতিদিন ৮ থেকে ১০টি এবং ঢাকা থেকেও সমান সংখ্যক দ্বিতল ও তিনতলা বিশিষ্ট লঞ্চ ছেড়ে যায়। এসব লঞ্চে শত শত মানুষ চলাচল করেন। তবে লঞ্চের ইঞ্জিনরুমে অগ্নিনির্বাপণ সামগ্রী থাকলেও কেবিন কিংবা ডেকে কোনো অগ্নিনির্বাপণ সামগ্রী রাখা হয় না। এ ছাড়া সেই অনুপাতে লঞ্চগুলোতে নেই অগ্নিনির্বাপণের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। সম্প্রতি ঝালকাঠিতে নৌযানে অগ্নিকাণ্ডের পর এই বিষয় নিয়ে যাত্রীদের মধ্যেও নতুন করে ভয় কাজ করছে।
পটুয়াখালী শহরের বিএডিসি এলাকার বাসিন্দা প্রকৌশলী আবু তাহের ইমরান বলেন, ‘বাসাবাড়িতে ফায়ার সার্ভিস মনিটরিং করে আর এত বড় বড় লঞ্চে শত শত যাত্রী চলাচল করে সেসব লঞ্চে ফায়ার সার্ভিস মনিটরিং করে না এটা কি করে হয়। সরকারের উচিত লঞ্চে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা।’
পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহাকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘বহুতল ভবনগুলো নিয়মিত মনিটরিংয়ে রাখা হলেও আইনের মধ্যে না থাকায় এসব বহুতল লঞ্চে আমাদের কোনো মনিটরিং কিংবা সার্ভে করার সুযোগ নেই। তবে অধিদপ্তরের নির্দেশনা পেলে এ বিষয়ে আমরা কাজ করব।’
এদিকে এসব যাত্রীবাহী লঞ্চে নিয়মিত ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদান ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কাজ করলেও অধিকাংশ লঞ্চেই যাত্রী অনুপাতে প্রয়োজনীয় জীবন রক্ষাকারী সামগ্রীর অভাব লক্ষ করা গেছে।
পটুয়াখালী নদীবন্দর কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস মনিটরিং করবে কি না সেটা তাদের বিষয়। আমার জানা মতে প্রতিটি লঞ্চে অগ্নিনির্বাপণের জন্য যা দরকার সবই রয়েছে।’