ক্রীড়া ডেস্ক
এবারের বিশ্বকাপে ইতিহাস সৃষ্টি করে চলেছে মরক্কো। তাদের সাফল্য যেন এক মহাকাব্য, অবিশ্বাস্য রূপকথা। একের পর এক ফুটবল পরাশক্তিকে বিদায় করে আফ্রিকা ও আরবের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে তারা উঠেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। আজ পর্তুগালের বিপক্ষে তাই আফ্রিকা আর আরবের জন্য লড়বে মরক্কো।
মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগরাগি বলেছেন, ‘আমার দেশ ও দল নিয়ে গর্বিত। আমরা সবাই একই পরিবারের অংশ হিসেবে ইতিবাচক আবহ অনুভব করছি। আমাদের পেছনে আফ্রিকা ও আরবের মানুষের সমর্থন আছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা মূলত মরক্কোর হয়ে খেলছি।’
শেষ ষোলোর ম্যাচে স্পেনকে পেনাল্টি শুটআউটে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে মরক্কো। এখানেই থামতে চান না রেগরাগি।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা এখানেই থামতে চাচ্ছি না। আমরা প্রতিটি প্রতিপক্ষকে সম্মান করেছি। এবার কঠিন এক প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়তে যাচ্ছি। তাহলে কেন শিরোপা উঁচিয়ে ধরার স্বপ্ন দেখব না?’
কাতারে নিজেদের সব ম্যাচেই বিপুল সমর্থন পেয়েছে মরক্কো। আল থুমামা স্টেডিয়ামে পর্তুগালের বিপক্ষেও এই সমর্থন পাবেন বলে আশা রেগরাগির। ৪৭ বছর বয়সী কোচ বলেছেন, ‘সমর্থকদের সমর্থন ছাড়া এটি করা আমাদের জন্য অসম্ভব হবে। বলতে পারি, তাদের ছাড়া আমরা কোনো কিছু করতে পারব না। কোয়ার্টারে তাদের আমাদের প্রয়োজন। আশা করি, আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করব।’
আজ ইতিহাস সৃষ্টিতে তাদের বাধা হয়ে আসছে ২০১৬ ইউরো চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল। শেষ ষোলোর ম্যাচে সুইজারল্যান্ডকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পর্তুগিজরা। প্রতিপক্ষকে নিয়ে রেগরাগি বলেছেন, ‘পর্তুগালের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে, তাদের দুর্দান্ত কিছু স্ট্রাইকার আছে। কিন্তু তারা জানে, আমরা তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ।
আমরা বড় দলের সঙ্গে খেলে অভ্যস্ত। এবার আরেকটি চমক দেখানোর চেষ্টা করব। এর জন্য আমাদের খেলায় মনোযোগ দিতে হবে এবং আরও ভালো করতে হবে।’
আজ পর্তুগালকে হারাতে পারলে আফ্রিকা ও আরবের প্রথম দেশ হিসেবে তারা সেমিফাইনালে উঠে যাবে মরক্কো।