নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। শেষ ১২ দিনে তিনগুণ করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর প্রভাবে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় এখনই কঠোর বিধিনিষেধ প্রতিপালনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
জেলার সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত যেখানে ৯০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়, সেখানে পরের ১২ দিনে (গতকাল শনিবার পর্যন্ত) ৪০৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়। বিশেষ করে জানুয়ারির শুরু থেকে প্রতিদিন আগের দিনের রেকর্ড ভাঙছে। গতকাল শনিবারও ৭৬ জনের নমুনা করোনা পজিটিভ এসেছে। অথচ গত মাসের এ দিনে মাত্র ৩ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছিল।
এদিকে করোনা সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে রোগী ভর্তি বাড়ছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ও হাসপাতালে এক মাস আগে রেড জোনে করোনা রোগী ভর্তি ছিল ১২ জন। এখন সেটি দ্বিগুণ। এ ছাড়া চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বর্তমানে চার নারীসহ রোগী ভর্তি আছেন ১৭ জন। ১০ দিন আগেও এই হাসপাতালে ৭-৮ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে সবচেয়ে বড় আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে বর্তমানে ২০ জন করোনা রোগী আছেন।
চমেক হাসপাতালের উপপরিচালক আফতাব উল ইসলাম বলেন, আগে থেকে হাসপাতালে রোগী ভর্তি বাড়ছে। এখন পর্যন্ত রোগীদের করোনার রেড জোনে ভর্তি দেওয়া হচ্ছে। অনেক দিন ধরে বন্ধ থাকা ইয়েলো জোনও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় প্রস্তুত আছেন তাঁরা। একই রকম মন্তব্য করেন মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম আজাদ।
জেলার সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, নগরীর সব সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতেও কয়েক দফায় বৈঠক হয়েছে। জনসাধারণকে দ্রুত টিকার আওতায় আনার পাশাপাশি তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এখন থেকে কঠোর বিধিনিষেধ না মানলে আরেকটি বড় ধাক্কা আসতে পারে—এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন সিভিল সার্জন।