ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রেনের টিকিট পাওয়া নিয়ে স্টেশন মাস্টারকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার রাতে শহরের রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার রাত ৯টায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিমুন সরকারের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে প্রবেশ করেন। এ সময় তাঁরা সহকারী স্টেশন মাস্টারকে খোঁজাখুঁজি করে টিকিট দাবি করেন। স্টেশন মাস্টার তাঁদের লাইনে দাঁড়াতে বলেন। এ নিয়ে তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে স্টেশন মাস্টার ও সহকারী স্টেশন মাস্টারকে অন্য কক্ষে নিয়ে গিয়ে লাঞ্ছিত করেন।
স্টেশন মাস্টার আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘গত বুধবার রাতে সহকারী স্টেশন মাস্টার অনুপ বসাকের কাছে টিকিট চেয়েছিলেন হিমুন সরকার। এ সময় সহকারী স্টেশন মাস্টার লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কিনতে বলেন। এর জেরে তাঁরা আমাকে ও আমার সহকারী স্টেশন মাস্টারকে অন্য কক্ষে নিয়ে গিয়ে লাঞ্ছিত করেন। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিত শান্ত করে। এ বিষয়গুলো রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন নেতাদের অবগত করা হয়েছে।’
এদিকে স্টেশন মাস্টারকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা অস্বীকার করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিমুন সরকার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের কয়েজন নেতা-কর্মী রাতে ট্রেনের টিকিট কিনতে যান। পরে টিকিট না পাওয়ায় তাঁরা স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এমন সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে বসে বিষয়টি মীমাংসা করে চলে আসি। ছাত্রলীগের সেক্রেটারি হওয়ার কারণে আমার শত্রুর অভাব নাই। কেউ স্টেশন মাস্টারকে শিখিয়ে দিয়েছে বলে আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করছেন তিনি।’
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জানার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’