কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার এলংগী পাড়ার ঝাড়ুপট্টির ঝাড়ু কারিগরেরা ছনের ঝাড়ু তৈরিকে কুটির শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মণ্ডল ঝাড়ুপট্টি পরিদর্শনে গেলে এ দাবি জানান তাঁরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ইউএনও প্রায় ২০টি ঝাড়ু কারিগরের বাড়ি ও কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বংশ পরম্পরের ঐতিহ্য হিসেবে প্রায় শত বছর ধরে ঝাড়ুপট্টির শতাধিক পরিবার ছনের ঝাড়ু তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন। আঞ্চলিক ভাষায় এই ঝাড়ুকে বারুণ বলা হয়। ঝাড়ু তৈরিতে এই পট্টির শত বছরের ঐতিহ্য থাকলেও মেলেনি কুটির শিল্প হিসেবে বিসিকের স্বীকৃতি। সহযোগিতার হাত বাড়াইনি সরকারি বা বেসরকারি কোনো সংস্থা। ফলে তাঁদের ভাগ্যের বদলও ঘটেনি। তা ছাড়া করোনার সময় কোনো প্রণোদনাও জোটেনি তাঁদের ভাগ্যে।
এলাকা ঘুরে জানা গেছে, অসচ্ছল হওয়ায় এখানকার কারিগরেরা পর্যাপ্ত ছন কিনে মজুত করতে পারেন না। অনেকে বে-সরকারি বা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কাঁচামাল সংরক্ষণ করেন। কিন্তু সেখানে অধিক সুদ হওয়ায় প্রতিবছর ঋণ নিয়ে কাঁচামাল মজুত করা সম্ভব হয় না।
এ বিষয়ে ইউএনও বিতান কুমার মণ্ডল, ‘প্রায় শতাধিক পরিবার শত বছর ধরে এলংগী এলাকায় ঝাড়ু তৈরির কাজ করছে। উদ্যোক্তার খোঁজে তাঁদের কাজ পরিদর্শন করেছি। তাঁদের ভাগ্যবদলে ও কাজটিকে আধুনিক করতে সহযোগিতা করা হবে।’