নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
থার্টি ফাস্ট নাইটে সন্ধ্যার পর বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় বিনোদনের জায়গা পতেঙ্গাসহ অন্যান্য সৈকত এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেবে না পুলিশ। এই নিষেধাজ্ঞা পর দিন সকাল পর্যন্ত থাকবে। এ ছাড়া প্রকাশ্যে ও খোলা স্থানে, ভবনের ছাদ ও সড়কে কোনো উৎসব বা জমায়েত করা যাবে না। কোনো ভবনের ছাদে আতশবাজি ফুটলে ভবন মালিককে পড়তে হবে আইনি ঝামেলায়।
বর্ষবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান ঘিরে কড়াকড়ি আরোপ করে এমন ১৬ নির্দেশনা জারি করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। গতকাল বৃহস্পতিবার সিএমপি এই নির্দেশনা জারি করে। সিএমপির জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহাদত হুসেন রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ সূত্র বলছে, তাদের অনুমোদিত জায়গায় যথাযথ নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সভা, সমাবেশ ও যে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান করা যাবে।
সিএমপির নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, আজ ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত ও পারকি সৈকত এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেবে না পুলিশ। এ দিন সন্ধ্যা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে লাইসেন্সপ্রাপ্ত সকল বার ও মদের দোকান বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া মাদকদ্রব্য সেবন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, মাদকাসক্ত অবস্থায় কাউকে পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হোটেল মালিকদের ডিজে পার্টির নামে কোনো স্পেস বা কক্ষ ভাড়া দেওয়া যাবে না। রাত ১০টার পর ফাস্টফুডের দোকানসহ মার্কেটগুলো বন্ধ রাখতে হবে। সড়ক, ফ্লাইওভার, ভবনের ছাদ, প্রকাশ্য ও উন্মুক্ত কোনো জায়গায় নাচ-গানসহ সব ধরনের অনুষ্ঠান, জমায়েত, সমাবেশ ও উৎসব করা যাবে না। ভবনের ছাদসহ কোনো জায়গায় আতশবাজি ফোটানো যাবে না।